Dawah wa Tablig Perfect Islamic Site based on Quran & Sahi Hadith

Quiz

দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-০৬ (২০১৯)

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. কিতাবুত তাওহীদ গ্রন্থের মূল উদ্দেশ্য কি?
    • কিতাবুত তাওহীদ গ্রন্থের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর সাথে তাঁর ইবাদত বন্দেগীতে অংশীদার স্থাপন করতে নিষেধ করা এবং একত্ববাদের নির্দেশ দেয়া। (সঠিক)
    • বাদশাহী করা।
    • গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
  2. বালা, সুতা ও তাবীয ব্যবহার করা, কোন ধারণের শিরক?
    • শিরকে আকবার।
    • শিরকে আসগার। (সঠিক)
    • শিরকে খাফি।
  3. পীর-মুরিদি কোন ধরণের শিরক?
    • শিরক আসগার।
    • শিরক আকবার। (সঠিক)
    • শিরক খাফি।
  4. পীর-মুরিদি ও শিক্ষক-ছাত্র কি একই রকম?
    • হাঁ।
    • না। (সঠিক)
  5. একই ব্যক্তি কি একই সাথে একাধিক পীরের মুরিদ হতে পারে?
    • না (সঠিক)
    • হাঁ।
  6. একই ছাত্রের এক সাথে একাধিক শিক্ষক থাকতে পারে কি?
    • হাঁ। (সঠিক)
    • না।
  7. পীর হতে হলে কি অবশ্যই কুরআন ও সহীহ হাদীস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হয়?
    • না। (সঠিক)
    • হাঁ।
  8. একজন দ্বীনের শিক্ষক হতে হলে কি অবশ্যই কুরআন ও সহীহ হাদীস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হয়?
    • হাঁ। (সঠিক)
    • না।
  9. পীরের পুত্র হলেই কি পীর হওয়া যায়?
    • হাঁ। (সঠিক)
    • না।
  10. একজন দ্বীনের শিক্ষকের পুত্র কি কুরআন ও সহীহ হাদীস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান ছাড়া দ্বীনের শিক্ষক হতে পারে?
    • না। (সঠিক)
    • হাঁ।
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. পীরকে বা কোন মানুষকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য মাধ্যম হিসাবে সাব্যস্ত করার বা সুপরিশকারী হিসাবে গ্রহণ করার হুকুম কি? কুরআন মাজিদ থেকে দুইটি প্রমাণ পেশ কর।
    উত্তরঃ পীরকে বা কোন মানুষকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য মাধ্যম হিসাবে সাব্যস্ত করা বা সুপরিশকারী হিসাবে গ্রহণ করা শিরক আকবর। আল্লাহ বলেন   وَأَنْذِرْ بِهِ ٱلَّذِينَ يَخَافُونَ أَنْ يُحْشَرُوۤاْ إِلَىٰ رَبِّهِمْ ۙ لَيْسَ لَهُمْ مِّنْ دُونِهِ ۧ وَلِىٌّ وَلَا شَفِيعٌ এর অর্থ “(কুরআন) এর মাধ্যমে তুমি ঐ সকল লোককে ভয় দেখাও যারা নিজেদের প্রভুর নিকট একত্র হওয়ার ভয়ে ভীত। তিনি ব্যতীত তাদের কোন অভিভাবক নেই, সুপারিশকারীও নেই। [সূরা আন’আমঃ ৫১] ,  مَنْ ذَا ٱلَّذِى يَشْفَعُ عِنْدَهُۥۤ إِلَّا بِإِذْنِهِۦ   অর্থ- “কে আছে যে তাঁর (আল্লাহর) অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করবে?” [সূরা বাকারাহ- ২৫৫] ।
    মূলত আল্লাহই তাঁর প্রীয় বান্দদের জন্য একমাত্র সুপারিশকারী। কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবহানাহু তাআল তাঁর প্রীয় ও মোখলিস বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তাকেঁ সুপারিস করার অনুমোতি দিয়ে সম্মানীত করবেন। কাকে ও কার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা সে সম্মানে ভুষিত করবেন এ দুনিয়তে কেহ তা জানে না। আল্লাহ হুকুম ছাড়া কেহ সে দিন সুপরিশ করতে পারবে না। মূলত আল্লাহই সবকিছু নির্ধারিত করে রেখেছেন, আর এ জ্ঞান শুধুমাত্র তাঁরই আছে অন্য কেহ তা জানে না আর আল্লাহ জানলেও তাঁকে সুপারিশকারী হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না কারণ এ সুপারিশ করার ক্ষমতা মূলত আল্লাহর। একমাত্র আল্লাহর ইবাদতই সুপারিশ লাভের উপায়। অন্য কাহারও প্রতি ইবাদত বা ভক্তি বা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করা মহা শিরক। তাই আল্লাহ ছাড়া অন্য কাহাকেও সুপারিশকারী হিসাবে গ্রহণ করা শিরকে আকবার।

  2. তাওহীদ সকল ইবাদতের মূল, এ সম্পর্কে কুরআন মাজিদ থেকে দুইটি আয়াত উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত বর্ননা কর।
    উত্তরঃ   তাওহীদ সকল ইবাদতের মূল। এ সম্পর্কে কুরআন মাজিদে বেশ কয়েকটি আয়াত আছে, তার মধ্যে থেকে এখানে দুইটি আয়াত উল্লেখ করা হলো। ১। وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّالِيَعْبُدُونِ- (الذاريات) অর্থ- “আর আমি জ্বিন ও মানুষকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।” [সূরা আয্যারিয়াত- ৫৬], ২। وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍرَّسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ- (النحل) “আর আমি তোমাদের প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ মর্মে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুত থেকে দূরে থাক।”[সূরা আন্-নাহ্ল- ৩৬]
    তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদ সকল ইবাদতের মূল, এ মর্মে আল্লাহ সুবহানাহু তা’আল অনেকগুলো আয়াত নাযিল করেছেন তার মধ্যে এখানে দুইটি আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে “আমি জ্বিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি এ জন্য যে, তারা কেবল আমারই ইবাদত করবে।” এটাকে আর একটু প্রশস্ত করে বললে বলতে হয়- আল্লাহ জ্বিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এ জন্য যে, তারা সকল মিথ্যা উপাস্যকে পরিত্যাগ করে একমাত্র সত্য উপাস্য আল্লাহর উপসনা করবে। এ উক্তর বহিপ্রকাশ হয়েছে পরের আয়াতে, এখানে আল্লাহ বলেন, আল্লাহ এ দুনিয়াতে মানুষের মধ্যে প্রত্যেক জাতির প্রতি তিনি রাসূল প্রেরণ করেন এ জন্য যে তারা সকল তাগুত বা মিথ্যা উপাস্য থেকে দূরে থাকবে বা তাদেরকে ছুড়ে ফেলে দিবে বা তাদেরকে পারিত্যগ করবে এবং একমাত্র সত্য উপাস্য আল্লাহর ইবাদত করবে।

  3. “তাওহীদ সকল ইবাদতের মূল” শিরনামে অধ্যাটি থেকে মোট কতগুলো বিষয় সম্পর্কে জানা যায়? এর থেকে যে কোন ৩ টি বিষয় উল্লেখ করে আলোচনা কর।
    উত্তরঃ “তাওহীদ সকল ইবাদতের মূল” শিরনামে অধ্যাটি থেকে মোট ২৪টি বিষয় জানা যায়। এ ২৪ বিষয়ের মধ্য থেকে ৩ টি বিষয় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হবে।
    ১। জ্বিন ও মানব জাতির সৃষ্টির রহস্যঃ
    জ্বিন ও মানব জাতির সৃষ্টির রহস্যের মূলে রয়েছে তাওহীদ। এ তাওহীদের মূল কথা হচ্ছে আল্লাহর কার্যে, আল্লাহর গুণ সিফাতে ও আল্লাহর উপাসনায় কোন অংশি নাই। মানব ও জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে শুধু এই কারণে যো তারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কোন কিছুকেই অংশি স্থীর করবে না। আর এটাই তাওহীদের মূল কথা।

    ২। ইবাদতের মূল তত্ত্বই হচ্ছে তাওহীদ। কারণ, এটা নিয়েই (সৃষ্টির সূচনা হতে) সর্বপ্রকার দ্বন্দ্ব ও মতভেদঃ
    যেমন মানুষ ও জ্বিন জাতির সৃষ্টির মূল রহস্য তাওহীদ ঠিক তেমনি ইবাদতের মূলেও আছে তাওহীদ। তাই তাওহীদ ছাড়া কোন ইবাদত নেই। কারণ মানুষ ও জ্বিন জাতিকে সৃষ্টিই করা হয়ে সকল মিথ্যা উপস্যদেরকে অস্বীকার করে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা জন্য।

    ৩। যে ব্যক্তি তাওহীদ পন্থী নয় তথা তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করল না, সে কোন ইবাদতই করল না। এতে নিহিত রয়েছে আল্লাহর এ বাণীর তাৎপর্য وَلَاأَنْتُمْ عَابِدُونَ مَاأَعْبُدُ অর্থ- আমি যার ইবাদত করি, তোমরা তার ইবাদত কর নাঃ
    তাওহীদ ছাড়া আল্লাহর কাছে কোন ইবাদতই ইবাদত হিসাবে গৃহিত হবে না। আল্লাহ ইচ্ছা করলে মানুষের সব কিছুই ক্ষামা করে দিতে পারেন। কিন্তু আল্লাহ পরিস্কার ভাবে বলে দিয়েছেন, যে মুশরিক অবস্থায় মারাগেল আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। তাই তাওহীদ ছাড়া কোন ইবাদতই ইবাদত নয়।

  4. তাওহীদ সকল পাপ মোচন করে জান্নাত প্রাপ্তি ঘটায়। এর সপক্ষ দলীল পেশ কর।
    উত্তরঃ হাঁ, তাওহীদ মানুষকে জান্নাতে দাখিল করে। এর প্রমাণ- আল্লাহ বলেন- الَّذِينَ آمَنُو وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُمْ مُّهْتَدُونَ- (الاَنْعام) অর্থ , যারা ঈমান আনবে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) এর সাথে মিশ্রিত করবে না তাঁদের জন্য রয়েছে নিরাপত্তা। তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত। [সূরা আন্’আম- ৮২], সাহাবী ইতবান বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, فَإِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى النَّرِ مَنْ قَالَ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ, يَبْتَغِى بِذَلِكِ وَجْهَ اللهِ- আল্লাহ তাআ’লা এমন ব্যক্তির উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৪২৩; সহীহ মুসলিম, হদীস নং- ৩৩, ২৬৩], সাহাবী উবাদা বিন সামিত (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন- مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَاشَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنَّ عِيْسَى عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ وَالْجَنَّةُ حَقُّ وَالنَّارُ حَقُّ أَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ عَلَى مَا كَانَ مِنْ الْعَمَلِ-‘যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য দান করল যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল। ঈসা (আ’লাইহিস সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তিনি তাঁর এমন এক কালিমা যা তিনি মারিয়ামে (আ’লাইহিস সাল্লাম) এর প্রতি প্রেরণ করেছেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে প্রেরিত রুহ বা আত্মা। জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহতাআ’লা জান্নাত দান করবেন, তার আমল যাই হোক না কেন। [বুখারী, হাদীস নং- ২৮; মুসলিম]

  5. ‌”যে ব্যক্তি তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করবে সে বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে” এ উক্তির উপর প্রমাণ উপস্থাপন কর।
    উত্তরঃ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتًا لِلَّهِ حَنِيفًا وَلَمْ يَكُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ- (النحل)
    নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠ ভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মাত বিশেষ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।” [সূরা আন-নাহ্ল- ১২০],
    আল্লাহ আরও বলছেন, وَالَّذِينَ هُمْ بِرَبِّهِمْ لَايُشْرِكُونَ- (ابراهيم)
    “আর যারা তাদের রবের সাথে কোন অংশীদার সাব্যস্ত করে না” [সূর আল-মুমিনুন- ৫৯],
    عُرِضَتْ عَلَيَّ أَلْأُمَمُ, فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ وَمَعَهُ الرَّجُلُ وَرَّجُلَانِ وَالنَّبِيَّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ إِذْ رُفِعَ لِي سَوَادٌ عَظِيمٌ فَظَنَنْتُ أَنَّهُمْ أُمَّتِي فَقِيلَ لِي هَذَا مُوسَى صَلَّى عَلَيْهِ وَقَوْمُهُ وَلَكِنْ انْظُرْ إِلَى الْأُفُقِ فَنَظَرْتُ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِى انْظُرْ إِلَى الْأُفُقِ الآخَرِ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِي أُمَّتُكَ وَمَعَهُمْ سَبْعُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلَا عَذَابٍ ثُمَّ نَهَضَ فََدَخَلَ مَنْزِلَهُ فَخَاضَ النَّاسُ فِي فِي أُولَئِكَ الَّذِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلَا عَذَابٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ فَلَعَلَّهُمْ الَّذِينَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ وَقَالَ بَعَضُهُمْ فَلَعَلَّهُمْ الَّذِينَ وُلِدُوا فِي الْإِسْلَامِ وَلَمْ يُشْبِكُُوا بَاللهِ وَذَكَرُوا أَشْيَءَ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مَا الَّذِي تُخُوضُونَ فِيهِ فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ هُمْ الَّذِينَ لَا يَسْتَرْقُونَ وَلَا يَتَطَيَّرُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ فَقَالَ إِدْعُ اللهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَقَالَ أَنْتَ مِنْهُمْ ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ ادْعُ اللهُ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَقَالَ سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ –
    “আমার সম্মুখে সমস্ত জাতিকে উপস্থাপন করা হল। তখন আমি এমন একজন নাবীকে দেখতে পেলাম যার সাথে অল্প সংখ্যক লোক রয়েছে। এরপর আরো একজন নাবীকে দেখতে পেলাম যার সাথে মাত্র দু‘জন লোক রয়েছে। আবার একজন নাবীকে দেখতে পেলাম যার সাথে কোন লোকই নেই। ঠিক এমন সময় আমার সামনে এক বিরাট জনগোষ্ঠী পেশ করা হল। তখন আমি ভাবলাম, এরা আমার উম্মত। কিন্তু আমাকে বলা হল এরা হচ্ছে মুসা (আঃ) এবং তাঁর জাতি। এরপর আরো একটি বিরাট জনগোষ্ঠীর দিকে তাকালাম। তখন আমাকে বলা হল, এরা আপনার উম্মত। এদের মধ্যে সত্তর হাজার লোক রয়েছে যারা বিনা হিসেবে এবং বিনা আজাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ কথা বলে তিনি দরবার থেকে উঠে বাড়ির অভ্যন্তরে চলে গেলেন। এরপর লোকেরা ঐ সব ভাগ্যবান লোকদের ব্যাপারে বিতর্ক শুরু করে দিল। কেউ বলল, তারা বোধ হয় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহচার্য লাভকারী ব্যক্তিবর্গ। আবার কেউ বলল, তারা বোধ হয় ইসলাম পরিবেশে অথবা মুসলিম মাতা-পিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছে আর আল্লাহর সাথে তারা কাউকে শরিক করেনি। তারা এ ধরণের আরও কথা বলাবলি করল। অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের মধ্যে উপস্থিত হলে বিষয়টি তাঁকে জানানো হল। তখন তিনি বললেন, ‘তারা হচ্ছে ঐ সব লোক যারা ঝাড়-ফুক করে না। পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করে না। শরীরে সেক বা দাগ দেয় না। আর তাদের রবের উপর তারা ভরসা করে।’ এ কথা শুনে ওয়াকাশা বিন মুহসিন দাঁড়িয়ে বলল, ‘আপনি আমার জন্য দু‘আ করুন যেন আল্লাহ তা‘আলা আমাকে সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের দল ভুক্ত করে নেন। ‘তিনি বললেন আমি দুআ’ করলাম, ‘তুমি তাদের দলভুক্ত।’ অতঃপর অন্য একজন লোক দাঁড়িয়ে বলল, আল্লাহর কাছে আমার জন্যও দোয়া করুন যেন তিনি আমাকেও তাদের দলভুক্ত করে নেন। তিনি বললেন, ‘তোমার পূর্বেই ওয়াকাশা অগ্রবর্তী হয়ে গেছে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৭৫২, ৫৭০৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২২০]
 

দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-০৫ (২০১৯)

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. কিতাবুত তাওহীদ গ্রন্থটির লিখকের নাম কি?
    • ইমাম শাফি রহমাহুল্লাহ।
    • ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ রহমাহুল্লাহ।
    • মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব রহমাহুল্লাহ। (সঠিক)
  2. মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব রহমাহুল্লাহ কোন দেশের মানুষ ছিলেন?
    • জর্ডানের।
    • ইরাকের।
    • সৌদি আরবের। (সঠিক)
  3. তিনি কিসের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন?
    • উপন্যাস লিখে।
    • দেশ জয় করে।
    • সৌদি সমাজ থেকে শিরক, বিদাত ও নানান কুসংস্কার উচ্ছেদ করে তাওহীদ ও সুন্নাত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। (সঠিক)
  4. কিতাবুত তাওহীদ গ্রন্থে কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?
    • খেলাধুলা নিয়ে।
    • বিজ্ঞান নিয়ে।
    • তাওহীদ ও এর বিপরীত শিরক নিয়ে। (সঠিক)
  5. তাওহীদের আভিধানিক অর্থ কি?
    • বহুত্ববাদ।
    • একত্ববাদ। (সঠিক)
    • দ্বীত্ববাদ।
  6. তাওহীদের পারিভাষিক অর্থ কি?
    • আল্লাহর তথা স্রোষ্টার একত্ববাদ। (সঠিক)
    • স্রোষ্টার দ্বিত্ববাদ।
    • স্রোষ্টার তৃত্ববাদ।
  7. তাওহীদের সংঙ্গা লিখ?
    • সকল মিথ্যা মাবুদ কে অস্বীকার করে একমাত্র আল্লাহর উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ ও আসমাআসসিফাতে এক ও একক হিসাবে মানা। (সঠিক)
    • সকল ক্ষমতার উৎস জনগণের ।
    • সকল ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল।
  8. সাধারণ ভাবে শিরক কত প্রকার? কি কি?
    • সাধারণ ভাবে শিরক ২ প্রকার। ১। শিরকে আকবার, ২। শিরকে আসগার।
    • সাধারণ ভাবে শিরক ৩ প্রকার। ১। কথার শিরক, ২। কানের শিরক, ৩। চোখের শিরক।
    • সাধারণ ভাবে শিরক চার প্রকার। ১। উঠাবসার শিরক, ২। ব্যাবসা বাণিজ্যের শিরক, ৩। দান-খয়রাতে শিরক, ৪। কামে-কাজে শিরক।
  9. অন্যভাবে শিরক কত প্রকার ও কি কি?
    • অন্যভাবে শিরক তিন প্রকার। ১। শিরকে আকবার, ২। শিরকে আসগার, ৩। শিরকে খাফি বা গুপ্ত শিরক। (সঠিক)
    • অন্যভাবে শিরক দুই প্রকার। ১। খেলাধুলায় শিরক, ২। খাওয়াদাওয়ায় শিরক।
    • অন্যভাবে শিরক এক প্রকার। ১। মানুষের সাথে লেনদেনে শিরক।
  10. শিরকে আকবার কি?
    • শিরকে আকবার এমন শিরক যা ইসলাম থেকে বের করে দেয়। (সঠিক)
    • শিরকে আকবার এমন শিরক যা ইসলাম থেকে বের করে দেয় না।
    • শিরকে আকবার এমন শিরক যা একটি বড় গুনাহের কাজ যা ইসলাম থেকে বের করে দেয় না।
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. শিরকে আকবার কাহকে বলে? এর দুইটি উদাহরণ লিখ।
    উত্তরঃ শিরকে আকবার এমন শিরক যা ইসলামের গণ্ডী থেকে বের করে দেয়। এটি হচ্ছে আল্লাহর সাথে অন্য কারো ইবাদত করা অথবা আল্লাহ ছাড়া অন্য করো জন্য ইবাদতের কিছুটা হলেও সম্পন্ন করা, অথবা ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করা। যেমন- ১। মূর্তিপূজকদের শির্ক, ২। কবর ও মৃতদের পূজাকারীদের শির্ক।
  2. শিরকে আসগার কাহকে বলে? এর দুইটি উদাহরণ লিখ।
    উত্তরঃ শিরকে আসগার এমন শিরক যা ইসলামের গণ্ডী থেকে বের করে দেয় না, তবে এটি বড় গুনাহ যা পরিত্যাগ না করলে তাকে ধিরে ধিরে শিরকে আকবারের দিকে নিয়ে যায়। যেমান- ১। বালা, সুতা ও তাবীয ব্যবহার করা, ২। রিয়া বা মানুষকে প্রদর্শন করার জন্য ইবাদত করা।
  3. শিরকে আকবার কত প্রকার ও কি কি? প্রত্যেক প্রকারে একটি করে উদাহরণ লিখ।
    উত্তরঃ শিরকে আকবার দুই প্রকার। ১। প্রকাশ্য শিরক, উদাহরণ- কবরওয়ালার নিকট চাওয়া, ভক্তি করা। ২। গোপন শিরক, উদাহরণ- মানাফিক বা কপটতার শিরক।
  4. গুপ্ত শিরক বা শিরকে খাফি কাহাকে বলে? এর একটি উদাহারণ লিখ।
    উত্তরঃ ইবাদতে রিয়া করা বা মানুষকে প্রদর্শনের জন্য যে ইবাদত করা হয় তাকে গুপ্ত শিরক বা শিরকে খাফি বলা হয়। যেমন- মসজিদে সুন্দর ও দীর্ঘ করে সালাত আদায় করা কিন্তু আন্তরে থাকে মানুষ যেন তার এ সালত দেখে তাকে বড় ইবাদতগুজার মনে করে।
  5. তাওহীদুর রুবুবিয়্যা কাহাকে বলে? একটি উদাহরণ দাও।
    উত্তরঃ তাওহীদুর রুবুবিয়্যা হচ্ছে- আল্লাহকে তাঁর কার্যাবলীতে এক ও অদ্বিতীয় বলে মেনে নেওয়া। উদাহরণ- আল্লাহ মানুষসহ সব কিছুর স্রষ্টা।
 

দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-০৪ (২০১৯)

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. উসূলুদদ্বীন কিতাবটিতে লিখক দ্বীনের কয়টি জরুরী নীতিমালা উল্লেখ করেছেন?
    • ৮ টি।
    • ১০ টি। (সঠিক)
    • ৭ টি।
  2. তাওহীদের আভিধানিক অর্থ কি?
    • দ্বীত্ত্ববাদ।
    • একত্ববাদ। (সঠিক)
    • বহুত্ববাদ।
  3. সুন্নাতের আভিধানিক অর্থ কি?
    • নিয়ম কানুন। (সঠিক)
    • পথ।
    • বিভক্তি।
  4. ইসলামী পরিভাষায় সুন্নাত কাহাকে বলে?
    • আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা, তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মাধ্যমে আমাদেরকে যে নিয়ম কানুন প্রদান করেছেন তাকে সুন্নাত বা সুন্নাহ বলে। (সঠিক)
    • ইমাম আবু হানিফা আদের জন্য যে নিয়ম কানুন দিয়েগেছেন তাকে সুন্নাহ বলে।
    • অন্যান্য ইমামগণ যে নিয়ম কানুন দিয়েগেছেন তাকে সুন্নাহ বলে।
  5. কাফির এর আভিধানিক অর্থ কি?
    • ঢেকে দেয়া। (সঠিক)
    • খুলে দেয়া।
    • প্রকাশ করা।
  6. কাফিরে পারিভাষিক অর্থ কি?
    • দ্বীন ইসলামকে অস্বিকার করা। (সঠিক)
    • দ্বীন ইসলামকে ভাল মনে করা।
    • দ্বীন ইসলামকে স্বিকার করা।
  7. ঈমানের সর্বচ্চ শাখা কি?
    • লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা ও বিশ্বাস করা। (সঠিক)
    • সালাত আদায় করা।
    • সিয়াম পালন করা।
  8. সালাত পরিত্যাগকারী কি কাফির?
    • জি, কাফির। সঠিক
    • না, কাফির নয়।
    • 0
  9. ইসলামী আকিদা বলতে কি বুঝায়?
    • ইসলামের মৌলিক বিষয় সমূহে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা। (সঠিক)
    • পীরের উপর বিশ্বাস করা।
    • ওলী আওলীয়তে বিশ্বাস করা।
  10. আকিদার প্রথম ধাপ কি?
    • আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক জেনে বিশ্বাস স্থাপন করা। (সঠিক)
    • পীর সম্পর্কে সঠিক জেনে বিশ্বাস স্থাপন করা।
    • ওলী আওলীয়া সম্পর্কে সঠিক জেনে বিশ্বাস স্থাপন করা।
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. উসূলুদ্দিন কিতাবে কয়টি দ্বীনের জরুরী নীতিমালা বর্ণনা করা হয়েছে। ঐ সব নীতিমালাগুলো থেকে যে কোন ৫ টি নীতিমালা লিখ।
    উত্তরঃ উসূলুদ্বীন কিতাবে দ্বীনের জরুরী নীতিমালা মোট ১০টি বর্ণনা করা হয়েছে। এর মধে থেকে ৫টি এখানে উল্লেখ করা হইল- ১। মহৎ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য হারাম কোন মাধ্যম গ্রহণ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ২। ভালবাসা ও ঘৃণা শুধুমাত্র আল্লাহর ওয়াস্তেই হতে হবে। ৩। বিপর্যয় দূরীকরণ মঙ্গল অর্জনের পূর্বের কাজ। বিপর্যয় দূরীকরণ আগে তারপর মঙ্গল অর্জনের কাজ। ৪। মনুষ্য সীমিত জ্ঞান বুদ্ধিকে অসীম জ্ঞানের অধিকারী আল্লাহ প্রদত্ত কুরআন ও বিশুদ্ধ হদীসের উপর প্রাধান্য দেওয়া ধ্বংসের ভারী হাতিয়ার। ৫। দ্বীন ইসলাম শাশ্বত, সনাতন, সর্বযুগ ও সবার জন্য সংরক্ষিত এবং বাস্তবায়নযোগ্য।
  2. তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি?
    উত্তরঃ তাওহীদ তিন প্রকার, ১। তাওহীদুল ঊলুহিয়্য, ২। তাওহীদুর রুবুবিয়া, ৩। তাওহীদুল আসমা আসসিফাত।
  3. বিদাতের আভিধানিক অর্থ কি?
    উত্তরঃ পূর্বের কোন নমুনা ব্যতিরেকে প্রতিটি নতুন আবিস্কারকে বিদাত বলে, চাই তা দ্বীনের মাঝে হোক বা দুনিয়ার বিষয় হোক।
  4. ঈমানের রুকুন সম্পর্কে উক্ত কিতাবে উল্লিখিত হাদীসটির অর্থ হাদীস গ্রন্থের নাম সহ উল্লেখ কর?
    উত্তরঃ হাদীসে জিবরীল [আঃ]। যখন তিনি নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে খবর দেন। রসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেন, (ঈমান হচ্ছে) “আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, পরকাল, কিতাব, নবী-রসূগণ, শেষ দিবস ও তকদিরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনবে।” [বুখারী ও মুসলিম]
  5. বিদাতের পারিভাষিক অর্থ কি?
    উত্তরঃ আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় ও দ্বীন মনে করে দ্বীনের মধ্যে প্রতিটি নতুন আবিস্কার, যা শরীয়তের প্রতিদ্বন্দ্বী ও সদৃশ এবং যার আসলে বা গুণাগুনের প্রমাণে কোন বিশুদ্ধ দলিল নেই।
 

দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-০৩ (২০১৯)

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. উসূলুদদ্বীন কিতাবটিতে লিখক “কুরআন মাজিদ” এর কয়টি বৈশিষ্ট উল্লেখ করেছেন?
    • ৮ টি।
    • ৯ টি। (সঠিক)
    • ১২ টি।
  2. উসূলুদদ্বীন কিতাবটিতে লিখক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু’আলাইহি ওয়া সালালামের বিশুদ্ধ হাদীস সম্পর্কে কয়টি বৈশিষ্ট উল্লেখ করেছেন?
    • ৯ টি।
    • ৪ টি। (সঠিক)
    • ৬ টি।
  3. “আসমান ও যমিনে যা কিছু আছে সব কিছু আল্লাহ তা‘আলার, তোমার পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়াছিলাম তাদেরকেও আদেশ করেছিলাম এবং তোমাদেরকেও আদেশ করছি যে, তোমরা আল্লহকে ভয় কর, আর যদি তোমরা অস্বীকার কর তাহলেও আসমান ও যমিনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর, আর আল্লাহ অভাব শূন্য (সৃষ্টির অভাব পূরণের সব কিছু তাঁর আছে) প্রশংসিত।” উসূলুদদ্বীন কিতাবে এ আয়াতটি উল্লেখ করা হয়েছে, আয়াতটি কোন সূরার ও আয়াত নম্বর কত?
    • সূরা বাকারা, ৬০ নং আয়াত।
    • সূরা আল-ইমারানের, ৩০ নং আয়াত।
    • সূরা নিসার, ১৩১ নং আয়াত। (সঠিক)
  4. উসূলুদদ্বীন কিতাবে লিখক তাকওয়া সম্পর্কে কুরআন মাজিদ থেকে কয়টি আয়াত উল্লেখ করেছেন?
    • ২ টি।
    • ৫ টি।
    • ৮ টি। (সঠিক)
  5. উসূলুদদ্বীন কিতাবে লিখক আখিরাত সম্পর্কে কুরআন মাজিদ থেকে কয়টি আয়াত উল্লেখ করেছেন?
    • ১০ টি আয়াত।
    • ১৩ টি আয়াত। (সঠিক)
    • ৫ টি আয়াত।
  6. ‘অন্যায় কর্ম দেখলে’ যে কর্ম দূর্বল ঈমানের পরিচয় বহন করে তা কোনটি?
    • সামর্থ থাকলে তা হাত দ্বারা প্রতিরোধ করা।
    • সামর্থ থাকলে তা মুখ দিয়ে প্রতিরোধ করা।
    • আর সামর্থ থাকার পরও তা হস্ত বা মুখ দ্বারা প্রতিরোধ না করে কেবল অন্তর দ্বারা ঘৃণা করা। (সঠিক)
  7. ঈমানের শাখ-প্রশাখার মধ্যে সর্বনিম্ন শাখা কি?
    • পাড়া প্রতিবেশিদের দান করা।
    • রমজান মাসে সিয়াম পালন করা।
    • রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেয়া। (সঠিক)
  8. নবুয়াত ও রিসালত সম্পর্কে উসূলুদদ্বীন কিতাবে কুরআন মাজিদ থেকে কয়টি আয়াত দ্বারা উদারহণ পেশ করা হয়েছে?
    • ৫ টি।
    • ৮ টি। (সঠিক)
    • ১০ টি।
  9. তাকওয়া সম্পর্কে উসূলুদ্দিন কিতাবে কয়টি আয়াত কুরআন মাজিদ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে?
    • ৩ টি।
    • ৫ টি।
    • ৮ টি। (সঠিক)
  10. আখিরাত সম্পর্কে উসূলুদ্দিন কিতাবে কুরআন মাজিদ থেকে কয়টি আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে?
    • ৫ টি।
    • ১০ টি।
    • ১৩ টি। (সঠিক)
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. উসূলুদ্দিন কিতাবে ঈমানের শাখা-প্রশাখ সম্পর্কে হাদীস গ্রন্থ মুসলিম থেকে যে হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে তার অর্থ লিখ।
    উত্তরঃ “আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “ঈমানের ৭৩ বা ৬৩ টির বেশী শাখা-প্রশাখা রয়েছে। এর সর্বোচ্চটি হলো- লা- ইলা- হা ইল্লাল্লা- হা আর সর্বনিম্ন হলো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেওয়া এবং লজ্জাকারাও ঈমানের একটি অঙ্গ।”
  2. উসূলুদদ্বীন কিতাবে ঈমানের রুকন সম্পর্কিত কুরআন মাজিদের দুইটি আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। সে দুইটি আয়াতের অর্থ, সূরার নাম ও আয়াত নম্বর সহ লিখ।
    উত্তরঃ ১। তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল পূর্ব বা পশ্চিম দিকে করবে তাতে পুণ্য নেই, বরং পুণ্য হলো, যে ব্যক্তি আল্লাহ, পরকাল, ফিরিস্তাগণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে।” [সূরা বাকারা- ১৭৭] ২। “আমি সবকিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধরিত পরিমাপে।” [সূরা কামার- ৪৯]
  3. ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
    উত্তরঃ ঈমানের রোকন ৬টি যথা- আল্লাহর প্রতি এবং তাঁর ফিরিস্তাগণ, কিতাবসমূহ, নবীরসূলগণ, শেষ দিবস ও তাকদিরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনা।
  4. ঈমানের রুকুন সম্পর্কে উক্ত কিতাবে উল্লিখিত হাদীসটির অর্থ হাদীস গ্রন্থের নাম সহ উল্লেখ কর?
    উত্তরঃ হাদীসে জিবরীল [আঃ]। যখন তিনি নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে খবর দেন। রসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেন, (ঈমান হচ্ছে) “আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, পরকাল, কিতাব, নবী-রসূগণ, শেষ দিবস ও তকদিরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনবে।” [বুখারী ও মুসলিম]
  5. উসূলুদ্দিন কিতাবে নিফাকে ইতিকাদী সম্পর্কে কুরআন মাজিদ থেকে যে কয়টি আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্য ধেতে যে কোন একটি আয়াতের অর্থ সূরার নাম ও নম্বর সহ লিখ?
    উত্তরঃ “নিঃসন্দেহে মোনাফেকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের কোন সাহায্যকারী কখনও পাবে না।” [সূরা নিসা- ১৪৫]
 

দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-০২ (২০১৯)

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. কুরআন মাজিদের মোট সূরা সংখ্যা কয়টি?
    • ১২০ টি।
    • ১১৪ টি। (সঠিক)
    • ১১৫ টি।
  2. কুরআন মাজিদের মোট মক্কায় নাযিল হওয়া সূরা সংখ্যা কয়টি?
    • ২৮ টি।
    • ৮৬ টি। (সঠিক)
    • ২৭ টি।
  3. কুরআন মাজিদের মোট মদিনায় নাযিল হওয়া সূরা সংখ্যা কয়টি?
    • ৮১ টি।
    • ৮৬ টি।
    • ২৮ টি। (সঠিক)
  4. কুরআন মাজিদে মোট নির্দেশের আয়াত সংখ্যা কয়টি?
    • ১০০ টি।
    • ৫০০ টি।
    • ১০০০ টি। (সঠিক)
  5. কুরআন মাজিদে মোট নিষেধের আয়াত সংখ্যা কয়টি?
    • ২০০০ টি।
    • ১০০০। (সঠিক)
    • ৫০০ টি।
  6. ঈমানের শাখ-প্রশাখার মধ্যে সর্বোচ্চ শাখা কি?
    • সালাত আদায় করা।
    • রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেয়া।
    • লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। (সঠিক)
  7. ঈমানের শাখ-প্রশাখার মধ্যে সর্বনিম্ন শাখা কি?
    • পাড়া প্রতিবেশিদের দান করা।
    • রমজান মাসে সিয়াম পালন করা।
    • রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেয়া। (সঠিক)
  8. কুরআন ও সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে ঈমানে রোকন কয়টি?
    • ৫ টি।
    • ৬ টি। (সঠিক)
    • ৭ টি।
  9. কুরআন মাজিদে মোট দোয়ার আয়াত সংখ্যা কয়টি?
    • ১০০০ টি।
    • ৫০০ টি।
    • ১০০ টি। (সঠিক)
  10. নিফাক কয় প্রকার?
    • ৫ প্রকার।
    • ৩ প্রকার।
    • ২ প্রকার। (সঠিক)
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. নিফাক কাহাকে বলে?
    উত্তরঃ অন্তরের ভিতরে কুফুরি লুকিয়ে রেখে বাহিরে ইসলাম প্রকাশ করাকে নিফাক বলে।
  2. নিফাক মূলত কয় প্রকার ও কি কি?
    উত্তরঃ নিফাক মূল দুই প্রকার। এক- নিফাক এতেকাদী, দুই- নিফাক আমলী।
  3. নিফাক এতেকাদী কাহাকে বলে ও এর লক্ষণগুলো কি কি?
    উত্তরঃ তথা আকীদা (বিশ্বাসে) নেফাকি, একে বড় নেফাকি বলে। বড় মোনাফেক ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায় এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নামের অতল তলে। এর লক্ষণ সমূহ- রসূলুল্লাহ (সাঃ) কে মিথ্যা মনে করা, রসূলুল্লাহ (সাঃ) আনিত বিধানের কিছুকে মিথ্যা মনে করা, রসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর প্রতি বিদ্বেষ মনের মধ্যে পোষণ করা, রসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর আনীত কোন বিধানের প্রতি বিদ্বেষ মনের মধ্যে পোষণ করা, রসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর দ্বীনের পরাজয়ে আনন্দ পাওয়া, রসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর দ্বীনের বিজয়কে মনে মনে ঘৃণা করা।
  4. নিফাক আমলী কাহাকে বলে?
    উত্তরঃ কর্মে নেফাকিকে আমলী নিফাক বা ছোট নিফাক বলে। ইহা অন্তরে ঈমান থাকার পরেও কাজে-কর্মে মোনাফিকের আমল করা। এ ধরনের নেফাকি ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয় না। তবে মোনাফিক হওয়ার জন্য এক মাধ্যম। এ নেফাক ঈমানের সঙ্গে থাকতে পারে। কিন্তু যখন ছোট নেফাকি প্রকট আকার ধারণ করে তখন বড় মোনাফিক হয়ে যায়।
  5. তাওহীদ কয় প্রকার ও কি কি?
    উত্তরঃ তাওহীদ তিন প্রকার। ১। তাওহীদুর রবূবিয়্যাহ। ২। তাওহীদুল আসমা ওয়াসস্বিফা-ত। ৩। তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ।
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-০১ (২০১৯)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. ইসলামে দাওয়াতের উসূল কয়টি?
    • একটি।
    • চারটি। (সঠিক)
    • দুইটি।
  2. ইসলামে দাওয়াতের প্রথম উসূল কি?
    • গণতন্ত্র।
    • তাওহীদ। (সঠিক)
    • পীর/ওলী/আওলীয়া।
  3. ইসলামে দাওয়াতের দ্বিতীয় উসূল কি?
    • সংসদ বা দলীয় নেতা।
    • ধর্মীয় ইমামগণ বা পীর/ওলী/আওলীয়াগণ।
    • নবুয়াত ও রেসালত। (সঠিক)
  4. ইসলামে দাওয়াতের তৃতীয় উসূল কি?
    • দলীয় বা সংসদ নেতা ভিতী।
    • পীর ওলী আওলীয়া ভিতী।
    • তাকওয়া বা আল্লাহ ভিতী। (সঠিক)
  5. ঈমানের শাব্দিক অর্থ কি?
    • খেলা করা।
    • বিশ্বাস করা। (সঠিক)
    • দলাদলী করা।
  6. ঈমানের পারিভাষীক অর্থ কি?
    • শুধু মাত্র তাওহীদে বা একত্ববাদে বিশ্বাস করা। (সঠিক)
    • গনতন্ত্রে বা সমাজতন্ত্রে বা ধর্মনিরেপক্ষে বা নাস্তিকতায় বিশ্বাস করা।
    • পীর বা ওলী আওলীয়া তন্ত্রে বিশ্বাস করা।
  7. ঈমান কাহাকে বলে?
    • ঈমান হচ্ছে অন্তরে বিশ্বাস করা, জবান দ্বারা স্বীকার করা।
    • ঈমান হচ্ছে অন্তরে বিশ্বাস করা, জবান দ্বারা স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা কাজে বাস্তবায়ন করার নাম।
    • ঈমান হচ্ছে অন্তরে বিশ্বাস করা, জবান দ্বারা স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা কাজে বাস্তবায়ন করার নাম, যা সৎ আমলের মাধ্যমে বাড়ে এবং পাপ কাজের দ্বারা কমে। (সঠিক)
  8. মুমিন কাহাকে বলে?
    • যিনি তাওহীদকে অন্তর দ্বার বিশ্বাস করেন, জবান দ্বারা ঘোষণা করেন।
    • যিনি তাওহীদকে অন্তর দ্বার বিশ্বাস করেন, জবান দ্বারা ঘোষণা করেন ও কাজের দ্বারা বাস্তবায়ন করেন।
    • যিনি তাওহীদকে অন্তর দ্বার বিশ্বাস করেন, জবান দ্বারা ঘোষণা করেন ও কর্মের দ্বারা বাস্তবায়ন করেন আর এ কর্মের মধ্যে সৎকর্ম দ্বারা ঈমান বাড়ে ও অসৎ কর্ম দ্বারা ঈমান কমে এটা বিশ্বাস করেন। (সঠিক)
  9. ঈমানের রুকন কয়টি?
    • তিনটি।
    • পাঁচটি।
    • ছয়টি। (সঠিক)
  10. ঈমানের প্রথম রুকনটি কি?
    • কিতাব সমূহের প্রতি বিশ্বাস করা।
    • রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস করা।
    • এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। (সঠিক)
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. তাওহীদ কাহাকে বলে?
    উত্তরঃ সমস্ত বাতীল ইলাহ ও রবকে পরিত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহকেই একমাত্র ইলাহ ও রব হিসাবে গ্রহণ করাকে তাওহীদ বলে।
  2. নবুয়াত ও রিসালাত কাহাকে বলে?
    উত্তরঃ নবুয়াত শব্দ থেকেই নবী এসেছে। আর নবীর অর্থ খবর দাতা। আর রিসালত শব্দ থেকে রাসূল হয়েছে যার অর্থ বার্তাবাহক। তাই নবী ও রাসূলগণ যুগে যুগে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে মানুষদেরকে আহবান করেছেন। আল্লাহ তাঁর শ্রেষ্ঠ বান্দা নবী ও রাসূগলগণকে যে যে বিষয়ে ঈমান আনতে ও যে যে পদ্ধতীতে তাঁর ইবাদত করতে শিখিয়েছেন ও মানবমণ্ডলিকে সে ভাবে শিক্ষা দানের নির্দেশ দিয়েছেন সেই সেই বিষয়ে ঈমান আনা ও সেই সেই পদ্ধতীকে নবুয়াত বা রিসালাত বলা হয়। মুহাম্মাদ (সাঃ) হচ্ছেন সর্বশেষ নবী ও রাসূল তাই একমাত্র তিনার নবুয়াত ও রিসালত আমাদের মানা ফরয। একমাত্র নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর রিসালাত মানাও তাওহীদের একটা বড় অংশ। মুহাম্মাদ (সাঃ) এর রিসালাত মানা ছাড়া মুসলমান হওয়া যায় না।
  3. তাকওয়া কাহাকে বলে?
    উত্তরঃ তাকওয়ার শাব্দিক অর্থ ভয়করা বা মেনে চলা। পারিভাষিক অর্থ একমাত্র আল্লাহকে ভয় করা বা মেনে চলা। তাই একমাত্র আল্লাহকে ভয়করে তাঁর সকল বিধিবিধান মেনে চলা বা তাঁর নির্দেশিত সকল মন্দ কাজ পরিহার করে তাঁর নির্দেশিত সকল ভাল কাজ করাকে তাকওয়া বলে।
  4. আখিরাত কাহাকে বলে?
    উত্তরঃ মৃত্যুর পর মানুষের আত্মা আলমে বারযাখে রাখা হয়। কিয়ামতের দ্বিতীয় পর‌জায়ে পূরুত্থানের দিন থেকে যে অনন্ত কাল শুরু হবে তাকে আখিরাত বলা হয়। এই আখিরাত বা পরকালে দুইটি অবস্থা থাকবে। এক – জান্নাত নেককার বা ভালমানুষদের অনন্ত কালের বসবাসের জন্য সুখময় স্থান। দুই – জাহান্নাম পাপী বা খারাপ মানুষের মধ্যে যারা কাফির ও মুশরিক নয় তাদের জন্য নির্দিষ্ট কাল ব্যাপী আর পাপী বা খারাপ মানুষের মধ্যে যারা কাফির মুশরিক তাদের জন্য অনন্ত কালের কঠিন কষ্টকর শাস্তির স্থান।
  5. আখিরাত সম্পর্কে কুরআন মাজিদ থেকে একটা আয়াতের বাংলা অনুবাদ উল্লেখ কর।
    উত্তরঃ “এই ভাবে আমি এই আরবী কুরআ’ন আপনার উপর ওহী করি যাতে আপনি মক্কার আধিবাসিদেরকে এবং এর পার্শ্ববর্তী লোকদেরকে সেই একত্রিত হওয়ার দিবস সম্পর্কে সতর্ক করেন যাতে কোন সন্দেহ নাই, এদের কতক জন্নাতবাসী হবে আর কতক জাহান্নামবাসী হবে।” [সূরা শূরা- ৭]
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-১২ (২০১৮)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. ইসলামী সরিয়ার মূল দলীল কয়টি?
    • একটি।
    • চারটি
    • দুইটি (সঠিক)
  2. ইসলামী সরিয়ার মূল দলীলের অধীন সহায়ক দলীল কয়টি?
    • পাঁচটি।
    • তিনটি।
    • দুইটি (সঠিক)
  3. ইসলামী সরিয়ার মূল দলীল কি কি?
    • সংসদ ও নেতাদের সিদ্ধান্ত।
    • ইমামগণ ও ফকিহগণের ফতোয়া।
    • কুরআন ও সহীহ হাদীস। (সঠিক)
  4. ইসলামী সরিয়ার মূল দলীল কুরআন ও সহীহ হাদীসের অধীন সহায়ক দলীল কি কি?
    • বিভিন্ন ফিকাহর কিতাব সমূহ।
    • হানাফি ফিকাহ, শাফঈ ফিকাহ, হাম্বলী ফিকাহ, মালেকি ফিকাহর যেকোন একটি।
    • কুরআন ও সহীহ হাদীসের অধীন সহায়ক ইজমা ও কিয়াস। (সঠিক)
  5. ইজমার পারিভাষিক অর্থ কি?
    • আলিম উলামাদের ঐক্যমত।
    • সকল মুসলমানদের ঐক্যমত।
    • কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে মুজতাহীদগণের ঐক্যমত। (সঠিক)
  6. মুজতাহীদ কি?
    • কুরআন ও সহীহ হাদীসের উপর যাঁর পরিপূর্ণ পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান আছে এবং সে ভিত্তিতে যিনি চলমান সমস্যার সমাধান দিতে পারেন এমন ব্যক্তিকে মুজতাহিদ বলা হয়। (সঠিক)
    • নিজের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে যিনি চলমান সমস্যার সমাধান দিতে পারেন তাকে মুজতাহিদ বলে।
    • ইমাম আবু হানিফাকেই একমাত্র মুজতাহিদ বলা হয়।
  7. মুস্তাহিদ যে কাজ করে তাকে কি বলে?
    • ইস্তেহাদ। (সঠিক)
    • অধ্যায়ন।
    • জিহাদ।
  8. মুজতাহিদ কি ভুল করতে পারেন?
    • হা, মুজতাহিদ ভুল করতে পারেন। (সঠিক)
    • না, মুজতাহিদ ভুল করতে পারেন না।
    • না, কোনটাই না।
  9. ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) কি ভুল করতে পারেন?
    • হাঁ, ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) ভুল করতে পারেন। (সঠিক)
    • না, ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) ভুল করতে পারে না।
    • না, কোনটিই নয়।
  10. প্রসিদ্ধ চার ইমাম কি ভুল করতে পারে?
    • হা, প্রসিদ্ধ চার ইমাম ভুল করতে পারেন। (সঠিক)
    • না, প্রসিদ্ধ চার ইমাম ভুল করতে পারেন না।
    • না, কোনটিই নয়।
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. ইজমা কাহাকে বলে?
    উত্তরঃ ইজমার আভিধানিক অর্থ একমত হওয়া। ইজমার পরিভাষিক অর্থ মুসলিমদের মধ্যে কোন নতুন বিষয়ে কুরআন ও সহীহ হাদীসে সরাসরি ফয়সালা না পাওয়া গেলে সকল কুরআন ও সহীহ হাদীসের মুস্তাহিদগণ একমত হয়ে যে ফয়সালা দান করেন তাহাই ইজমা।
  2. ইজমা কয় প্রকার ও কি কি লিখ।
    উত্তরঃ ইজমা দুই প্রকার। ১) সুস্পষ্ট ইজমা, ২) নিরব ইজমা।
  3. বিশুদ্ধ কিয়াস কাহাকে বলে?
    উত্তরঃ ইসলামের এমন কিছু বিষয়ের বা বস্তুর ফয়সাল সরাসরি কুরআন ও সহীহ হাদীসে নাই কিন্তু কুরআন ও সহীহ হাদীসে ফয়সালা আছে এমন বিষয় ও বস্তুর গুণ ও কারণ ঐ বিষয় ও বস্তুর মধ্যে থাকলে- কুরআন ও সহীহ হাদীসে এ ফয়সালা, ঐ বিষয় বা সবস্তুর উপর আরোপ করাকে কিয়াস বলা হয়।
  4. বিশুদ্ধ নয় এমন কিয়াস কাহাকে বলে?
    উত্তরঃ ইসলামের এমন কিছু বিষয়ের বা বস্তুর ফয়সাল সরাসরি কুরআন ও সহীহ হাদীসে বিদ্যমান আছে তবুও সে বিষয় বা বস্তুর উপর কিয়াস করা অথবা কিয়াসের যে বিধিবিধান আছে তা লঙ্ঘন করা হলে সে কিয়াস বিশুদ্ধ নয় তাকে অশুদ্ধ কিয়াস বলা হয়।
  5. মুস্তাহিদ হওয়ার সর্তাবলী কি কি লিখ।
    উত্তরঃ ১। কুরআনের পরিপূর্ণ ও সুস্পষ্ট জ্ঞান রাখা। ২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বিশুদ্ধ হাদীসের পরিপূর্ণ ও সুস্পষ্ট জ্ঞান রাখা। ৩। ফিকাহ বিদদের ইজমার জ্ঞান রাখা। ৪। আরবী ভাষার পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখা। ৫। নাসিখ ও মনসুখ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা। ৬। ফিকাহশাস্ত্রের ঊসুল সম্পর্কে জ্ঞান রাখা। ৭। কিয়াস সম্পর্কে জ্ঞান রাখা। ৮। সৎ ও মুত্তাকি ব্যক্তি হওয়া এবং বিদাতি, ফাসিক তথা ওয়াজিব ফরজ ত্যাগকারী না হওয়া।
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-১১ (২০১৮)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. উসূলুইদ্বীনের অর্থ কি?
    • উসূলুদ্বীনের অর্থ হচ্ছে দ্বীনের মূল বা উৎস বা ভিত্তি। (সঠিক)
    • উসূলুদ্বীনের অর্থ হচ্ছে জাতীয়তার মূল।
    • উসূলুদ্বীনের অর্থ হচ্ছে মাজহাবের মূল।
  2. উসূলুদ্বীন বা ইসলামী শরিয়াতে উসূল কয়টি?
    • দুইটি (সঠিক)
    • তিনটি।
    • চারটি।
  3. উসূলুদ্বীন বা ইসলামী শরিয়াতে উসূল কি কি?
    • ১। আল-কুরআন মাজিদ, ২। মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিশুদ্ধ হাদীস। (সঠিক)
    • ইমাম আবুহানীফার মাজহাব বা তরিকা।
    • হিদায়া গ্রন্থ।
  4. ইসলামী শরিয়াতে উসূল এর অধীন আরও কয়টি অধীন উসূল আছে?
    • দুইটি। (সঠিক)
    • পাঁচটি।
    • তিনটি।
  5. অধীন উসূল সমূহের নাম লিখ।
    • কিয়াস।
    • ইজমা।
    • ইজমা ও কিয়াস। (সঠিক)
  6. আল-কুরআন মাজিদ কি?
    • আল্লাহর বাণী যা ওহী যোগে জিব্রাঈল আমীন মুহাম্মাদ (সাঃ) উপর তিলওয়াত সহকারে অবতীর্ণ করেন। (সঠিক)
    • ওলী আওলীয়াদের স্বপ্ন।
    • ওলী আওলীয়াদের উপর ইলহাম।
  7. মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু’আলাইহি ওয়া সালমের বিশুদ্ধ হাদীস কাহাকে বলে?
    • আল্লাহর বাণী ও বাস্তব কর্ম ও বিভিন্ন নিয়ম পদ্ধতী যা ওহী যোগে জিব্রাঈল আমীন মুহাম্মাদ (সাঃ) উপর তিলওয়াত বিহীন অবস্থায় অবতীর্ণ করেন ও ব্যবহারীক শিক্ষা দান করেন। (সঠিক)
    • ইমাম আবুহানীফার কর্মপদ্ধতী।
    • হিদায়া গ্রন্থে বর্ণীত কর্ম পদ্ধতী।
  8. কুরআন মাজিদে কয়টি সূরা আছে?
    • ১১৪ টি সূরা আছে। (সঠিক)
    • ১১০ টি সূরা আছে।
    • ১১২ টি সূরা আছে।
  9. মক্বায় অবতীর্ণ সূরা সংখ্যা কয়টি?
    • ৮৬ টি। (সঠিক)
    • ৮০ টি।
    • ৯০ টি।
  10. মদীনায় অবতীর্ণ সূরা সংখ্যা কয়টি?
    • ২৮ টি। (সঠিক)
    • ৩০ টি।
    • ৪০ টি।
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. কুরআন মাজিদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখ।
    উত্তরঃ
    কুরআন হলো আল্লাহ তাআ’লার মহাবাণী যা মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত ফিরিস্তা জিবরীল আমীনের মাধ্যমে সুস্পষ্ট আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে। ইহা মুতাওয়াতির (এত অধিক সংখ্যাক বর্ণনাকারী দ্বারা বর্ণিত সূত্র যা মিথ্যা হওয়া অসম্ভব) সূত্রে বর্ণিত যার শব্দ ও অর্থ উভয়টি মু’জিযা ও এর মধ্যে ৮৬টি মক্কী এবং ২৮টি মাদানী মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে এবং পারা সংখ্যা ত্রিশ। কুফার কারীদের গণনা মতে আয়াত সংখ্যা ৬,২৩৬টি ও অন্যান্যদের গণনায় ৬,৬৬৬টি। আর শব্দ সংখ্যা ৭৭,৪৩৭টি বা ৭৭,৪৩৯টি ও আক্ষর সংখ্যা ৩,২০,৬৭০টি।
    নির্দেশের আয়াতঃ ১০০০টি।
    নিষেধের আয়াতঃ ১০০০টি।
    প্রতিশ্রুতির আয়াতঃ ১০০০টি।
    শাস্তির আয়াতঃ ১০০০ট।
    কেসাস ও খবরাদির আয়াতঃ ১০০০টি।
    হালাল ও হারামের আয়াতঃ ৫০০টি।
    দোয়ার আয়াতঃ ১০০টি।
    নাসিখ (বিধান রহীতকারী) ও মানসূখ (রহীত বিধান)- এর আয়াতঃ ৬৬টি।
  2. কুরআন মাজিদ এর বৈশিষ্ট সমূহ লিখ।
    উত্তরঃ ১। রাব্বানীঃ কুরআন আল্লাহর নিকট থেকে আসা পবিত্র কিতাব। ২। ক্রটিমুক্তঃ কুরআনের মাঝে নেই কোন প্রাকার ক্রটি ও অপূর্ণতা। ৩। সুস্পষ্টঃ কুরআ’নের বক্তব্য সুস্পষ্ট এবং এর মাঝে নেই কোন অস্পষ্টতা। ৪। পরিপূর্ণঃ কুরআন মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনে যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুকেই শামিল করে। ৫। ভারসাম্যপূর্ণঃ কুরআনের সবকিছুই ভারসাম্যপূর্ণ। যেমনঃ হিদায়াতের ক্ষেত্রে, সকল বিষয়বস্তুতে, সমস্যা দূর করণে। মানুষের আত্মা ও শরীরের মাঝের সমন্বয় সাধনে। অনুরূপ বিবেক-বুদ্ধি ও অন্তরের মধ্যে ও অধিকার ও করণীয় ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ে ভারসাম্য বাজায় রাখে। ৬। আমলযোগ্যঃ কুরআন বাস্তব আমলযোগ্য একটি কিতাব যা প্রতিটি যুগে ও স্থানে বাস্তবায়ন করার জন্য উপযুক্ত। ৭। চ্যালেঞ্জ ও মু’জিযাঃ কুরআনের চ্যালেঞ্জ কিয়ামত পর্যন্ত বাকি থাকবে এবং বিদ্বানগণ সর্বদা কুরআনের অলৌকিকতা ও বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য উন্মোচন করে থাকেন। ৮। অকাট্যভাবে সাব্যস্তঃ কোন প্রকার বিচ্ছন্ন ব্যতীত কুরআনের বর্ণনা বিশ্বস্ত মুতাওয়াতির সূত্র দ্বারা নবী (সাঃ) থেকে সাব্যস্ত। আজ পর্যন্ত এর মাঝে এক বিন্দু সন্দেহের অবকাশ নাই। ৯। সংরক্ষিতঃ কুরআন সর্বপ্রকার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন কিংবা কম-বেশি হওয়া থেকে সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষিত।
  3. নবী (সাঃ) এর বিশুদ্ধ হাদীসের পরিচয় লিখ।
    উত্তরঃ হাদীস হলোঃ যা নবী (সাঃ) থেকে প্রকাশিত হয়েছে, চাই তাঁর বাণী হোক বা কাজ কিংবা সমর্থন।
  4. নবী (সাঃ) এর বিশুদ্ধ হাদীসের বৈশিষ্ট সমূহ লিখ।
    উত্তরঃ ১। রাব্বানীঃ ইহা ঐশী বাণীর দ্বিতীয় প্রকার। ২। অবিচ্ছিন্ন যোগসূত্রঃ সকল বিশুদ্ধ হাদীস নবী (সাঃ) পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন বিশ্বস্ত সূত্র দ্বারা সাব্যস্ত। ৩। সংরক্ষিতঃ হাদীসের সংরক্ষণ কুরআনের সংরক্ষণের অংশ। ৪। বিধিবিধান প্রণয়নে ভুল-ভ্রান্তি মুক্তঃ কেননা হদীস অহী গাইর মাতলু। আর অহী সম্পূর্ণ ভুল-ক্রটি মুক্ত।
  5. হাদীস লিপিবদ্ধ করা সম্পর্কে আল্লাহর রাসূস মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উক্তি লিখ।
    উত্তরঃ হাদীস লিপিবদ্ধ করা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- “লেখ, যাঁর হাতে আমার জীবন তাঁর কসম! সত্য ব্যতীত তার (মুহাম্মদ সাঃ) থেকে অন্য কিছু বের হয় না।” (আবু দাঊদ) মনে রাখতে হবে যে, যঈফ (দুর্বল) ও জাল হাদীস দ্বারা শরিয়তের কোন বিধিবিধান প্রমাণিত হয় না। বরং তা পরিহার করা ওয়াজিব।
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-১০ (২০১৮)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. ঈমান কি বংশগত, এটা কি কখনও ভাঙ্গে না?
    • না ঈমান বংশগত নয়। হাঁ এটা যথাযথ কারণে ভঙ্গ হয়। (সঠিক)
    • হাঁ ঈমান বংশগত। না এটা কখনও ভঙ্গ হয় না।
  2. ঈমানের উসূল কয়টা?
    • তিন টা। (সঠিক)
    • দুই টা।
    • পাঁচ টা।
  3. ঈমানের প্রথম উসূল কি?
    • ওলী আওলীয়ার মা’আরিফাত।
    • ইমামদের মা’আরিফাত।
    • আল্লাহ রাব্বুল’আলামিনের মা’আরিফাত। (সঠিক)
  4. ঈমানের দ্বীতিয় উসূল কি?
    • মা’আরিফাতুদ দ্বীন। (সঠিক)
    • মা’আরিফাতুদ দুনিয়া।
    • মা’আরিফাতুল মাজহাব।
  5. ঈমানের তৃতীয় উসূল কি?
    • মা’আরিফাতুল ইমাম আবু হানিফা।
    • মা’আরিফাতুন নফস।
    • মা’আরিফাতুন নবী মুহাম্মাদ(সাঃ)। (সঠিক)
  6. ঈমানের আহকাম কয়টি?
    • দুইটি।
    • পাঁচটি।
    • নয়টি। (সঠিক)
  7. ঈমানের আরকান কয়টি?
    • একটি।
    • তিনটি।
    • ছয়টি। (সঠিক)
  8. সশব্দে তিলওয়াত করা সালাতে জোড়ে আমীন বলা নিয়ে ঠাট্টা করলে কি ইমান ভেঙ্গে যায়?
    • হা ঈমান ভেঙ্গে যায়। (সঠিক)
    • না ঈমান ভেঙ্গে যায় না।
    • ঈমান ভাঙ্গে না কিন্তু গুনাহ হয়।
  9. সালাতে ইমাম যখন সশব্দে আমীন বলে তখন মুক্তাদিগণের সশব্দে আমীন বলা কি সুন্নাত?
    • হাঁ, সশব্দে আমীন বলা সুন্নাত। (সঠিক)
    • না, সশব্দে আমীন বলা সুন্নাত নয়।
    • না, সশব্দে আমীন বলা বিদ’আত।
  10. কেহ যদি সালাতের শেষে ইমামের সাথে সম্মিলিত মুনাজাত না করে, এ অবস্থায় কেহ যদি তাকে গালি দেয় ঠাট্টা তামাসা করে বা নির্যাতন করে তাহলে কি তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে?
    • না, তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে না, কিন্তু বিদ’আত করা ও বিদ’আত করতে বল প্রয়োগ করা ও সমর্থন করা জন্য বড় গুনাহগার হবে। (সঠিক)
    • ঈমান ভাঙ্গে যাবে।
    • না কিছুই হবে না।
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি?
    উত্তরঃ ঈমানের উসূল ৩ টি।
    ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। ২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। ৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
  2. ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
    উত্তরঃ ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
  3. ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
    উত্তরঃ ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
  4. ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
    উত্তরঃ ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
  5. ঈমান কাহাকে বলে?
    উত্তরঃ ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত- ১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা। ২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া। ৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-৯ (২০১৮)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আলাবানি (রহঃ) এর ইসলামে অবদান কি?
    • কুরআন এর ব্যাখ্যায়।
    • ফিকহ সাস্ত্রে।
    • সহীহ হাদীস সংরক্ষণে। (সঠিক)
  2. মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রহঃ) জন্ম গ্রহণ করেছিলে কোন মাজহাব অনুসারী পরিবারে?
    • হানাফি। (সঠিক)
    • শাফঈ।
    • হাম্বলী।
  3. তাঁর পিতা স্থানীয় মাজিদে কোন মাজহাবের ইমাম ছিলেন?
    • হাম্বলী।
    • হানাফি। (সঠিক)
    • শাফঈ।
  4. মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রহঃ) হাদীস সাস্ত্রের প্রতি কেন আকৃষ্ট হয়েছিলেন?
    • আল মানার পত্রিকার এক আর্টিক্যাল পড়ে। (সঠিক)
    • প্রবন্ধ পড়ে।
    • উপন্যাস পড়ে।
  5. মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রহঃ) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
    • আলবানিয়ায়। (সঠিক)
    • মক্কায়।
    • মদীনায়।
  6. পরে তিনি কাথায় অভিবাসিত হয়েছিলেন?
    • সিরয়ার দামেস্কে। (সঠিক)
    • মদীনায়।
    • মক্কায়।
  7. রাসূল্লাহ (সাঃ) এর সহীহ হাদীস অনুযায়ী মুসলমানদের সর্তক করার উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছিলেন আমার উম্মত ৭৩ টি দলে বিভক্ত হবে তার মধ্যে একটি দাল জান্নাতী হবে বাঁকি ৭২টি দল জাহান্নামী হবে। সেই জান্নাতী দলের বৈশিষ্ট কি?
    • আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে পথের উপর আছি যারা সেই পথ অবলম্বন করবে তারাই জান্নাতী দল। (সঠিক)
    • যারা হানাফি মাজহাব অনুসরণ করবে তারাই জান্নাতী দল।
    • যারা চার মাজহাবের যে কোন একটি মাজহাবের অনুসরণ করবে তারাই জান্নাতী দল।
  8. চুরি করলে কি ঈমান ভেঙ্গে যায়?
    • হা ভেঙ্গে যায়।
    •  
    • কচুরি করলে ঈমান ভাঙ্গে না কিন্তু চুরি করা গুনাহের কাজ। (সঠিক)
  9. সুন্নাহকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে কি ঈমান ভেঙ্গে যায়?
    • হা সুন্নাহকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে ঈমান ভেঙ্গে যায়। (সঠিক)
    • না সুন্নাহকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে ঈমান ভাঙ্গে না।
    • না সুন্নাহকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে ঈমান ভাঙ্গে না তবে বড় গুনাহ হয়।
  10. বুকের উপর হাত বাধা নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে কি ঈমান ভেঙ্গে যায়?
    • হা বুকের উপর হাত বাধা নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে ঈমান ভেঙ্গে যায়। (সঠিক)
    • না বুকের উপর হাত বাধা নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে ঈমান ভাঙ্গে না।
    • না বুকের উপর হাত বাধা নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে ঈমান ভাঙ্গে না তবে কবিরা গুনাহ হয় ।
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর।
    উত্তরঃ ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি।
    ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা। ২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা। ৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা। ৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা। ৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা। ৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা। ৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা। ৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া। ৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা। ১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
  2. আল্লাহ সুবহানাহুত’আলা কুরআন মাজিদকে হাদীস বলেছেন, সেসব আয়াতগুলোর সূরার নাম ও আয়াত নম্বর উল্লেখ কর?
    উত্তরঃ সূরা নেসার ৮৭ নং আয়াত, সূরা আল মুরসালাতের ৫০ নং আয়াত, সূরা আল জাজিয়ার ৬ নং আয়াত, সূরা জুমারের ২৩ নং আয়াত।
  3. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কুরআন মাজিকে হাদীস বলেছেন, সে হাদীসটির দলীলসহ হাদীসটি লিখ?
    উত্তরঃ নবী (সাঃ) তাঁর সব খুতবাতে বলতেন- “আম্মাব‘আদ, ফাইন্না খায়রাল হাদীসে কিতাবুল্লাহ” অর্থ- সবচেয়ে উত্তম হাদীস আল্লাহর কিতাব (কুরআন মাজিদ) [হাদীস গ্রন্থ মুসলিম, কিতাবুজ জুম’আ, বাবুত তাখফিফিস সালাতিল খুতবা, হাদীস নং ৮৬৭]
  4. ঈমান ভঙ্গ হয়েগেলে তার ফলাফল কি হয়?
    উত্তরঃ ঈমান ভঙ্গ হয়েগেলে সে ইসলাম ধর্ম থেকে দূরে চলে যায় এ অবস্থায় তার কোন ইবাদতই কবুল হয় না। ঈমান ভঙ্গের গুরত্ব অনুযায়ী কেহ সাময়ীক ভাবে জাহান্নামী হবে আবার কেহ চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামী হবে। যারা বড় শিরকে লিপ্ত তারা চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামী হয়ে যায়।
  5. আমরা সালাতে যে দারূদ পাঠ করি তা লিখ।
    উত্তরঃ আল্লাহুম্মা সাল্লিা’আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা ‘আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়ালাআলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা ‘আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া‘লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-৮ (২০১৮)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. ইবাদত করব কার?
    • আল্লাহর।
    • গায়রুল্লাহর।
    • একমাত্র আল্লাহর। (সঠিক)
  2. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে হবে এর পক্ষে দলীল কি?
    • সূরা আল-ফাতিহা। (সঠিক)
    • সূরা ফাতিহা।
    • সূরা আল-বাকারা।
  3. সালাতে কোন সূরা পাঠ করা ফরয?
    • সূরা ইখলাস।
    • সূরা নাস।
    • সূরা আল-ফাতিহা। (সঠিক)
  4. সাহায্য চাইতে হবে কার নিকট?
    • আল্লাহর নিকট।
    • একমাত্র আল্লাহর নিকট। (সঠিক)
    • ওলী আওলীয়ার নিকট।
  5. একমাত্র আল্লাহর নিকট চাইতে হবে এর দলীল কি?
    • সূরা আল-ফাতিহা। (সঠিক)
    • সূরা আল-বাকারা।
    • সূরা আন-নিসা।
  6. দুনিয়ার প্রতিপত্তি লাভের আশায় মানুষ কি ভুলে থাকে?
    • ছেলে-মেয়েদেরকে।
    • পিতা-মাতাকে।
    • মৃত্যু ও কবরেকে। (সঠিক)
  7. আমাদের দেশের প্রথায় অধিকাংশ আলিমগণ দ্বীনই ইলম নেয় কার কাছ থেকে?
    • নিজ নিজ মাজহাবী কিতাব ও ওলী-আওলীয়ার স্বপ্ন ও কিচ্ছা কাহীনি থেকে। (সঠিক)
    • প্রকৃতির থেকে।
    • কবিদের থেকে।
  8. প্রকৃত পক্ষে দ্বীন ইলম নিতে হবে কোথায় থেকে?
    • প্রকৃতির থেকে।
    • দার্শনিকদের থেকে।
    • কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে। (সঠিক)
  9. আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর দরূদ পাঠ করতে হবে এর দলীল কি?
    • আল আহযাবের ৫৬ নং আয়াতে। (সঠিক)
    • সূরা আল-ফাতিহার ৪ নং আয়াত।
    • সূরা আল-মায়িদাহর ১৫নং আয়াত।
  10. কবির রচনা করা কবিতা কি দরূদ হতে পারে?
    • হাঁ হতে পারে।
    • না হতে পারে না। (সঠিক)
    • 0
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর।
    উত্তরঃ ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি।
    ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা। ২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা। ৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা। ৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা। ৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা। ৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা। ৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা। ৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া। ৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা। ১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
  2. আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত ৩টি বড় শিরকের কথা উল্লেখ কর?
    উত্তরঃ ১। পীর প্রথা। ২। ওলী-আওলীয়াদের নিয়ে সুফিবাদ। ৩। ওরস ও ইসালে সুয়াব।
  3. বাংলাদেশের রাষ্ট্রিয় ভাবে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ও এর থেকে পাস করা শিক্ষিত মুসলিম সমাজে ১০টি ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহের মধ্য থেকে কোন কোন কারণগুলি প্রকট ভাবে বিদ্যমান?
    উত্তরঃ বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় ও শিক্ষিত সমাজে ১০টি ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহের মধ্য হতে- ১। সঠিক ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ না করা। ২। রাসূলুল্লাহা (সাঃ) এর সুন্নাহকে শ্রেষ্ঠ হিসাবে গ্রহণ না করা। ৩। কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ ভিত্তিক ইসলামী সরীয়াহকে গ্রহণ না করা; কারণগুলো প্রকট ভাবে বিদ্যমান।
  4. ঈমান ভঙ্গ হয়েগেলে তার ফলাফল কি হয়?
    উত্তরঃ ঈমান ভঙ্গ হয়েগেলে সে ইসলাম ধর্ম থেকে দূরে চলে যায় এ অবস্থায় তার কোন ইবাদতই কবুল হয় না। ঈমান ভঙ্গের গুরত্ব অনুযায়ী কেহ সাময়ীক ভাবে জাহান্নামী হবে আবার কেহ চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামী হবে। যারা বড় শিরকে লিপ্ত তারা চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামী হয়ে যায়।
  5. আমরা সালাতে যে দারূদ পাঠ করি তা লিখ।
    উত্তরঃ আল্লাহুম্মা সাল্লিা’আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা ‘আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়ালাআলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা ‘আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া‘লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-৭ (২০১৮)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. ইসলামী পরিভাষা গত ভাবে সুন্নাহ কি?
    • আল্লাহ তা’আলা রাসূল (সাঃ) এর প্রতি জীব্রাঈল আমিন দ্বারা বাণী প্রেরণ ও তাঁকে দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দান করেন। তাই দ্বীনের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জবান, তাঁর কাজ, তাঁর সম্মতি দ্বারা যে নিয়ম কানুন বা পদ্ধিতী বা তরিকা বান্দাদের জন্য সাব্যস্ত করেছেন তাহাই সুন্নাহ। (সঠিক)
    • ইমামগণের নিয়ম কানুন বা পদ্ধিতী বা তরিকা সুন্নাহ।
    • পীর, ওলী আওলীয়াদের নিয়ম কানুন বা পদ্ধিতী বা তরিকা সুন্নাহ।
  2. সুন্নাহর দলীল গ্রহণের সঠিক উৎস কি?
    • পীরের কথা বা স্বপ্ন।
    • ওলী আওলীয়ার কথা বা স্বপ্ন।
    • ওহী তথা কুরআন মাজিদ ও সহীহ হাদীস। (সঠিক)
  3. সুন্নীদের মধ্যে এত বিভক্তি ও মতভেদ কেন?
    • সুন্নাহর দলীল গ্রহণের সঠিক উৎস নির্ণয়ের বিভ্রান্তি। (সঠিক)
    • পীর এর নিকট থেকে সুন্নাহর দলীল গ্রহণ না করা।
    • ওলী আওলীয়াগণের নিকট থেকে সুন্নাহর দলীল গ্রহণ না করা।
  4. তাকবিরে তাহরিমায়, রুকু যাওয়ার পূর্বে, রুকু থেকে উঠার সময় চার রাক’আত বিশিষ্ট সালাতে দুই রাক’আত সালাতের পর জলসায় আত্তাহীয়াত পাঠের পর দাঁড়ানর সময় রাফ’উল ইয়াদাঈন করা কি সুন্নাহ?
    • হাঁ, সুন্নাহ। (সঠিক)
    • না, সুন্নাহ নয়।
    • মুবাহ।
  5. শব্দ সহকারে বা শব্দ ছাড়া উভয় প্রকার সালাতে মুক্তাদীগণ শব্দ ছাড়া সূরা ফাতিহা পাঠ করা কি সুন্নাহ?
    • হাঁ, সুন্নাহ। (সঠিক)
    • না, সুন্নাহ নয়।
    • মুবাহ।
  6. যে যে সালাতে ইমাম সশব্দে ফাতিহা পাঠ করে সে সব সালাতে ইমাম ও মুক্তাদীগণ সশব্দে আমীন বলা কি সুন্নাহ?
    • হাঁ, সুন্নাহ। (সঠিক)
    • না, সুন্নাহ নয়।
    • মুবাহ।
  7. যে যে সালাতে ইমাম শব্দ ছাড়া ফাতিহা পাঠ করে সে সব সালাতে ইমাম ও মুক্তাদিগণ শব্দ ছাড়া নিজে নিজে সূরা ফাতিহা ও শেষে আমীন পাঠ করা কি সুন্নাহ?
    • হাঁ, সুন্নাহ। (সঠিক)
    • না, সুন্নাহ নয়।
    • মুবাহ।
  8. ইসলামী পরিভাষায় বিদ’আত কাহাকে বলে?
    • ধর্মীয় বিষয়ে নতুন কিছু উদ্ভাবন করা যা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত নয় তাহাকে বিদ’আত বলে। (সঠিক)
    • মানুষের বা ধর্মীয় বিষয়ের জন্য ব্যবাহারিক প্রয়োজনে নতুন কিছু আবিস্কার করাকে বিদ’আত বলে।
    • বিজ্ঞানের নানান আবিস্কারকে বদি’আত বলে।
  9. মিলাদ করা কি বিদ’আত?
    • হাঁ, বিদ’আত। (সঠিক)
    • না, বিদ’আত নয়।
    • না, সুন্নাহ।
  10. সবে-বরাত ও সবে-মিরাজের উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ইবাদত করা হয় তা কি বিদ’আত?
    • হাঁ, বিদ’আত। (সঠিক)
    • না, বিদ’আত নয়।
    • না, সুন্নাহ।
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. ইসলামে বিভিন্ন মাজহাবে বা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হওয়া কি বৈধ? এ সম্পর্কে সূরার নাম ও আয়াত নং সহকারে কুরআন মাজিদের একটি আয়াত অর্থ সহকারে উদ্ধৃত কর।
    উত্তরঃ না ইসলামে বিভিন্ন মাজহাব বা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হওয়া বৈধ নয়। ইসলামে বিভিন্ন মাজহাব বা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হওয়াকে কঠিন ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এর সমর্থনে আল্লাহ তা’আলার বাণী-
    وَٱعْتَصِمُوا بِحَبْلِ ٱللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُواۚ وَٱذْكُرُوا نِعْمَتَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَآءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِۧٓ إِخْوَٰنًا وَكُنتُمْ عَلَىٰ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ ٱلنَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَاۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمْ ءَايَٰتِهِۧ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
    তোমরা সকলে আল্লাহর রশি (ধর্ম বা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ) কে শক্ত করে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহকে স্মরণ কর; তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে, তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করলেন। ফলে তোমরা তাঁর অনুগ্রহে পরস্পর ভাই-ভাই হয়ে গেলে। তোমরা অগ্নিকুন্ডের (জাহান্নামের) প্রান্তে ছিলে, অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তা হতে তোমাদেরকে উদ্ধার করেছেন। এরূপে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শন স্পষ্টভাবে বিবৃত করেন, যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার। [সূরা আল ইমরান ৩:১০৩]
  2. কুরআন মাজিদের ব্যাখ্যা মানুষ নিজের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে করা কি বৈধ?
    উত্তরঃ না কুরআন মাজিদের ব্যাখ্যা মানুষ নিজের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে করা বৈধ নয়। কারণ মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি সীমিত আর কুরআন মাজিদ অসীম জ্ঞানি মহান আল্লাহর থেকে নাযিলকৃত। অসীম জ্ঞানের থেকে আগত বিষয় নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা সীমিত জ্ঞানের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তাই তা বৈধ নয়।
  3. কুরআন ও সহীহ হাদীসের বিপরীতে কোন ইমাম, ওলী আওলীয়া বা পীড় বা কোন মানুষের মতামত বা সিদ্ধান্ত বা রায় বা পদ্ধতী বা বিশ্বাস বা তরিকা গ্রহণ করা কি বৈধ?
    উত্তরঃ না বৈধ নয়। কারণ এ দ্বীনকে আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। আর এটা যদি বৈধ হয় তাহলে দ্বীনে বিভিন্ন ইমাম, ওলী আওলীয়া, পীড় বা অন্য কোন মানুষ দ্বারা নানান নিয়ম, পদ্ধতী, তরিকা, বিশ্বাস দ্বারা বিভক্ত হওয়া বৈধ হয়ে যেত এবং বিভিন্ন মুশরিকী বিশ্বাস ও বিদ’আতী আমলও বৈধ হয়ে যেত, কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা শিরক, বিদ’আত ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হওয়াকে কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
  4. যখন কোন বিষয়ে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ পাওয়া যায় তখন ঈমানদ্বার মুসলিমগণ কি করবে?
    উত্তরঃ যখন কোন বিষয়ে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ পাওয়া যায় তখন ঈমানদ্বার মুসলিমগণ থেমে যাবে আর আগে বাড়াবে না এবং বিনা দ্বিধায় ইখলাসের সাথে তা মেনে নিবে।
  5. যারা কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে তারা কি ইসলামের গণ্ডির মধ্যে থাকতে পারে?
    উত্তরঃ যারা কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে তারা অস্বীকারকারী বা কাফির তারা ইসলামের গণ্ডি থেকে আপোষে বেড় হয়ে যায়।
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-৬ (২০১৮)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সতর্কবাণী – “আমার উম্মাত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে তার মধ্যে ৭২টি দলই জাহান্নামী হবে” এ বাহাত্তুরটি দলের সৃষ্টির মূল কারণ কি কি?
    • কুরআন ও সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণ করার কারণে।
    • মানুষের মনমত বিষয়ের অনুসরণের কারণে।
    • মানুষ নিজ সিমীত জ্ঞানের ও যুক্তির দ্বারা আল্লাহর ওহীর উপর নিজের নতুন সিদ্ধান্ত (যা বিদাত) অর্থাৎ ধর্মে হুকুম আহাকামে ও বিশ্বাসে কিছু বাদ দেয়া ও নতুন কিছু উৎভাবন করা ও সে মতে (ব্যাক্তি, গোষ্টি, বংশ কেন্দ্রিক) ফুরকা অর্থাৎ দলাদলির কারণে। (সঠিক)
  2. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মৃত্যুর পর ইসলামের ইতিহাসের প্রথম দিকে এক মুসলিম জামাত থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া বিভ্রান্ত দলগুলো কয়টি?
    • দুইটি।
    • তিনটি।
    • চারটি। (সঠিক)
  3. মুক্তি প্রাপ্ত যে একটি দল যার কথা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন তার মূল বৈশিষ্ট কি কি?
    • নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর আসহাবদের নিয়ে যে পথের উপর ছিলেন তা শক্ত করে ধরা। (সঠিক)
    • পীর বা ওলী আওলীয়া বা গাউস কুতুব বা কোন এক ইমাম বা কোন মানুষের পথকে যাচাই বাছাই না করে শক্ত করে ধরা।
    • মানুষের সিমীত জ্ঞানে যা ভাল মনে করে তাকে শক্ত করে ধরা।
  4. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাতের প্রতি সকল মুসলমানের ভালবাসা থাকা সত্যেও এত মত, বিভক্তি ও বিভ্রান্তি কেন?
    • দলীল গ্রহণের সঠিক উৎস নিয়ে বিভ্রান্তি। (সঠিক)
    • সহীহ হাদীসকে সঠিক মনে করা।
    • কুরআন মাজিদ কে সঠিক মনে করা।
  5. সুন্নাহর দলীল গ্রহণের সঠিক উৎস কি?
    • সুন্নাহ এর দলীল গ্রহণের সঠিক উৎস আল্লাহ কর্তৃক মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি দুই ধরণের ওহী। এ দুই ধরণের ওহী হচ্ছেঃ এক- ওহী মাতলু অর্থাৎ কুরআন ও দুই- ওহী গায়রে মাতলু অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সহীহ হাদীস সমূহ। (সঠিক)
    • স্বপ্ন থেকে দলীল গ্রহণ।
    • বাপদাদাদের থেকে ও ওলী আওলীয়াদের কিচ্ছা কাহিণী থেকে দলীল গ্রহণ।
  6. ইসলামের পরিভাষায় সুন্নাহ কি?
    • রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর তরিকা বা কর্ম পদ্ধতী যা উম্মাতের জন্য নির্ধারীত। (সঠিক)
    • ইমামদের তরিকা।
    • ওলী আওলীয়া বা পীরদের বা বিভিন্ন ব্যক্তিদের তরিকা।
  7. সুন্নাত সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি টা কি?
    • ফিকহের মাধ্যমে ইবাদতের শ্রেণী বিন্যাষে কিছু ইবাদতকে (সুন্নাত) সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা ও সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামকরণ এগুলো নফল ইবাদত বনাম হাদীসের বিরণে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর তরিকা বা কর্ম পদ্ধতী যা উম্মাতের জন্য নির্ধারীত এটাও সুন্নাত আর এ সুন্নাত হচ্ছে সবার জন্য গ্রহণ করা ফরয। (সঠিক)
    • পীর, ওলী আওলীয়াদের সুন্নাত বনাম মানুষের ইচ্ছামত সুন্নাত ।
    • যুক্তি বিদ্যার সুন্নাত বনাম যে কোন ব্যাক্তির তাকলিদি সুন্নাত।
  8. মানুষের মধ্যে গুমরাহীর মূল কারণ কি?
    • দলীল গ্রহণের উৎস চিনতে ভুল করা। (সঠিক)
    • লিখা-পড়া না করা।
    • পীরে ইত্তেবা না করা।
  9. মাজহাব অর্থ কি?
    • মাযহাব অর্থ ধর্ম, ধর্মমত, মতবাদ, আদর্শ বা বিশ্বাস। (সঠিক)
    • দল।
    • ভাগ।
  10. দ্বীন বা মাযহাবের মূল উৎস কি?
    • কুরআন।
    • সহীহ হাদীস।
    • কুরআন ও সহীহ হাদীস। (সঠিক)
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মৃত্যুর পর জামাত থেকে পৃথক হয়ে প্রধান কয়টি বিভ্রান্ত দলের উদ্ভব হয়েছিল? তাদের নাম বল।
    উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মৃত্যুর পর ৪ টি প্রধান বিভ্রান্ত দলের উদ্ভব হয়েছিল। ১) মুরজিয়া, ২) কাদিরীয়া, ৩) শীয়া রাফিজিয়া, ৪) খাওয়ারিজ।
  2. বিভ্রান্ত ফিরকাগুলোর প্রধান প্রধান ভ্রান্ত আকিদাগুলো বর্ণনা কর?
    উত্তরঃ ১) মুরজিয়াদের প্রধান ভ্রান্ত আকিদা সমূহ – ক) ঈমান হচ্ছে শুধু বিশ্বাসের নাম এর সাথে আমলের সম্পর্ক নেই, খ) ঈমান আমলের অন্তর্ভুক্ত নয়, ৩) ঈমান বাড়েও না কমেও না, ৪) তারা শুধু তকদিরের উপর নির্ভর করে বসে থাকে। আমল করে না।
    ২) কাদিরীয়াদের প্রধান ভ্রান্ত আকিদা সমূহ – ক) তকদিররে উপর বিশ্বস করে না, তারা মনে করে ভাগ্যের ভাল মন্দ বলে কিছু নেই, খ) কেবল মানুষরে আমল বা কাজ বা তদবির ছাড়া কিছু নেই।
    ৩) শীয়া রাফিজিয়াদের প্রধান ভ্রান্ত আকিদা সমূহ – ক) ৫/৭ জন সাহাবি ছাড়া আল্লাহর রাসূলের সকল সাহাবিগণ কাফির মুর্তাদ হয়েগেছে মনে করা, খ) সাহাবায়ে কিরামগণ সম্পর্কে গালিগালাজ ও কটুক্তি করা। গ) বর্তমান কুরআন মাজিদকে অসম্পূর্ণ মনে করা। ঘ) সাহাবাগণ কর্তৃক বর্ণিত সকল হাদীস কে অস্বীকার করা। ঙ) আর তারা বিশ্বাস করে সবচেয়ে বড় তাগুত হচ্ছে হযরত আবুকর (রাঃ) ও হযরত উমর (রাঃ)। চ) তারা ইমামীয়াতে বিশ্বাসী। ইমামত কেবল আহলি বায়াত ছাড়া অন্য কেহ হতে পারবে না। ছ) তারা মনে করে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আলীকে তাঁর ওসি বানায়ে গিয়েছিলেন। তাই হযরত আলী প্রকৃত ইমাম। জ) ইমাম সম্পর্কে তাদের আকিদা তারা ইমামদেরকে আল্লাহর সমতুল্য মনে করে, কারণ তারা মনে করে হারাম/হালাল নির্ধারণ করা বা সরীয়ত তৈরীর ক্ষমতা ইমামদের উপর ন্যস্ত। ঝ) মা আয়শা (রাঃ) কে ব্যবিচারিনী মনে করা।
    ৪) খাওয়ারিজদের প্রধান ভ্রান্ত আকিদা সমূহ – ক) কবিরা গুনাহকারী দ্বীন থেকে বরে হয়ে যায়, তাওবা না করে মারাগেলে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়। খ) কবিরা গুনাহ কারীকে জাহান্নামে প্ররণ করা আল্লাহর প্রতি ওয়াজিব হয়ে যায় মনে করা। গ) শাসক যদি ফাসেক বা ফাযির বা জালিম হয় তারা বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে হবে, তার বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণা ও জনমত গড়তে হবে, তাকে হত্যা করতে হবে যদিও সে সুষ্পষ্ট কুফুর না হয়। তার পিছনে সালাত হবে না। এমন শাসকের পক্ষে জিহাদে অংশগ্রহণ করা যাবে না। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। তাকে ক্ষমাচ্যুত করার জন্য সবকিছু করা যাবে।
  3. বিভ্রান্ত দলগুলোর বিপরীতে ফিরকাতুন নাযিয়ার আকিদা ও বৈশিষ্ট বর্ণনা কর।
    উত্তরঃ বিভ্রান্ত দলগুলোর বিপরীতে ফিরকাতুন নাযিয়ার আকিদা ও বৈশিষ্ট হচ্ছে- ক) মুরজিয়াদের ও কাদিরিয়াদের আকিদার বিপরীতে – ঈমান আমলের অন্তর্ভুক্ত এবং আমলের সাথে সাথে ঈমান বাড়ে ও কমে। তাকদিরে উপর বিশ্বাস করতে হবে সাথে সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করে তাঁর নিকট প্রার্থনা করতে হবে ও আমল করতে হবে। খ) শিয়া রাফিযিদের ভ্রান্ত আকিদার বিপরীতে হযরত আবুবকর (রাঃ) ও হযরত উমর (রাঃ) সহ সকল আল্লাহর রাসূলের সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) দের প্রতি সম্মান ও দুয়া করতে হবে। মা আয়শা (রাঃ) এর প্রতি সুধারণা, সম্মান ও দুয়া করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর আসহাবে কিরাম (রাঃ) বর্ণনিত সকল সহীহ হাদীস মানা ওয়াজিব মনে করতে হবে। কুরআন মাজিদ পরিপূর্ণ আল্লাহর কিতাব মানতে হবে, এতে কোন অসম্পূর্ণতা নেই। ইমামাীয়াহ কেবল আহলি বায়াত থেকে হবে এটা পরিত্যাগ করতে হবে। ইমামদের হালাাল/হারাম বা সরীয়ত নির্ধারণের ক্ষমতা আছে এ বিশ্বাস পরিত্যাগ করে এ ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর এখতিয়াভুক্ত মনে করতে মানতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আলীকে তাঁর ওসি বানায়ে গিয়েছিলেন এটা মিথ্যা। গ) খাওয়ারিজদের প্রধান প্রধান ভ্রান্ত আকিদার বিপরীতে- সাধারণ কবিরা গুনাহ দ্বীন থেকে বহিস্কার করে না বা মুরতাদ হয় না। তাওবা না করলেও আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিতে পারেন বা চিরস্থায়ি জাহান্নামী হবে না। কবিরা গুনাহকারীর জন্য জাহান্নাম সাব্যস্ত করা আল্লাহর প্রতি ওয়াজিব করে না আর এমন কোনকিছু নাই যা আল্লাহর প্রতি ওয়াজীব করতে পারে। শাসক যদি ফাসেক, ফাজির বা জালিম হয় কিন্তু পরিস্কার কুফুরী বা মুশরিকী কাজে লিপ্ত না হয় তবে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, প্রচার প্রচারনা, ক্ষমতাচ্যুত করা, হত্যা করা, আন্দোলন করা বৈধ নয় এবং এমন শাসকের অধীন জিহাদ, সালাত আদায় করার বাধ্যবাধকতা আছে তবে বিনা রক্তপাতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ ধরনের শাসক পরিবর্তন করা সম্ভব হলে তা করা জায়েয আছে বিশ্বাস করা।
  4. ফিরকাতুন নাযিয়ার আকিদাগত প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট বর্ণনা কর?
    উত্তরঃ ফিরকাতুন নাযিয়া বা নাযাত প্রাপ্ত দল কারা? এ প্রশ্নের উত্তরে- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- তারা আল জামাত। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে- নাযাত প্রাপ্ত দল হচ্ছে আজ আমি ও আমার সাহাবায়ে কিরামগণ যে পথের উপর আছি এ পথ অবলম্বনকারীগণ। আর এক বর্ণনায় আছে- একটা ছোট্ট দল যারা কিয়ামত পর্যন্ত সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, যাদেরকে কেহ অসম্মানীত করতে চাইলে করতে পারবে না। তাই ফিরকাতুন নাযিয়ার আকিদাগত প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট- ক) এরা তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা, খ) কুরআন ও সুন্নাহ কে দ্বীনের মূল দলীল হিসাবে গ্রহণ করা, গ) সব কিছুর উপর কুরআন ও সুন্নাহকেই গুরুত্ব দেয়া গ) সকল প্রকার বিভ্রান্ত দলগুলোর আকিদার বিপরীতে কুরআন ও সুন্নাহর নিরিখে আকিদা গ্রহণ করা।
  5. আল-জামা’আহ বলতে কি বুঝ?
    উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবিগণ যে বৈশিষ্ট নিয়ে জামা’আতে ছিলেন সেই বৈশিষ্টকে আল-জামা’আহ বলা হয়। আর তা যদি একজনও ধারণ করে সে একজনও জামা’আহ।
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-৫ (২০১৮)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. চাইতে হবে কার কাছে?
    • পীরের কাছে।
    • ওলী আলীয়া বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কাছে।
    • একমাত্র আল্লাহর কাছে। (সঠিক)
  2. ভক্তি, সিজদা, প্রণতী করতে হবে কাকে?
    • নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে।
    • ওলী আওলীয়া, দরবেশ, কুতুব এবং পীর কে।
    • একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা কে। (সঠিক)
  3. অসুখ, ব্যধি এবং রোগ ভাল করে কে?
    • নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)।
    • পীর, ওলী আ্ওলীয়া, গাউস কুতুব।
    • আল্লাহ রব্বুল আলামীন। (সঠিক)
  4. অভাব অভিযোগ কে দূর করেন? সন্তান সন্ততী কে দান করে?
    • নবী ও রসূলগণ।
    • পীরগণ, ওলী আওলীয়াগণ, গাউস কুতুবগণ।
    • একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। (সঠিক)
  5. আল্লাহর কাছে আবেদন করতে বা তাঁকে সন্তুষ্ট করতে কোন মাধ্যম লাগে কি?
    • হাঁ, লাগে।
    • মাধ্যম লাগে আবার লাগেও না।
    • না মাধ্যম লাগে না, তবে বৈধ মাধ্যম ব্যবাহার করা যায়, যেমন- সৎকর্ম দ্বারা, ইবাদত দ্বারা, কোন ঈমানদার মানুষকে তার জন্য দোয়া করতে বলা, সুন্নাতি যিকির আযকার দ্বারা। (সঠিক)
  6. কেহ যদি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য বা আবেদন কারার জন্য কোন অবৈধ মাধ্যম গ্রহণ করে তার হুকুম কি?
    • জায়েয।
    • হারাম।
    • শিরক আকবার। (সঠিক)
  7. আল্লাহকে ভালবাসা কি?
    • ইবাদত। (সঠিক)
    • ইবাদত না।
    • কিছুই না।
  8. নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে ভালবাসা কি?
    • ইবাদত। (সঠিক)
    • ইবাদত না।
    • কিছুই না।
  9. ইবাদত কি?
    • ভয় ও আশা নিয়ে মুহাব্বতের সাথে আল্লাহকে সন্তুষ্ট কারার জন্য রাসূলের সুন্নাত মত তাঁর সকল হুকুম আহাকাম মান্য করা। (সঠিক)
    • নিজের ইচ্ছা মত স্তব স্তুতি করা।
    • পীর ওলী আওলীয়া বা দরবেস গাউস কতুব বা কোন ইমামের দেখান পথে চলা।
  10. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালবাসা কি?
    • আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সবসময় বলা যে আমি তোমাকে ভালবাসি।
    • আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজ স্ত্রীর মাত ভালবাসা যেমন সুফিরা করে থাকে।
    • আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমস্ত হুকুম আহাকাম, আদেশ নিশেধ ও উপদেশ মান্য করা (সঠিক)
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. আল্লাহর নিয়ামত যা তিনি মানুষকে দান করেছেন সে দান থেকে সেই মানুষের নিকট থেকে চাওয়া ছাড়া মানুষের সর্ব প্রকার প্রয়োজন পূরণের জন্য একমাত্র কাহার কাছে চাইতে হবে? এ সম্পর্কে কুরআনে একটি আয়াত উল্লেখ কর।
    উত্তরঃ মানুষ তার সর্ব প্রকার প্রয়োজন পূরণের জন্য এক মাত্র আল্লাহর কাছেই চাইতে হবে। “আমরা একমাত্র তোমরই ইবাদত করি ও একমাত্র তোমারই কাছে চাই” [সূরা ফতিহা- ৫ নং আয়াত] । তবে আল্লাহ তা’আলা মানুষকে যা দান করেছেন তার থেকে কিছু অংশ সেই মানুষের নিকট থেকে অন্য মানুষ চাইতে পারে এটা সুন্নাত সম্মত। তবে এমন বিষয় যা মানুষের এখতিয়ার বহির্ভুত বা মৃত ব্যাক্তি বা কবরের নিকট চাওয়া শিরক আকবার যা তাকে দ্বীন থেকে বহিস্কার করে দেয়।
  2. প্রকৃত দাতা কে? খাজা শব্দের অর্থ কি? মানুষ কি খাজা হতে পারে?
    উত্তরঃ প্রকৃত দাতা একমাত্র আল্লাহ রাববুল ‘আলামিন। খাজা শব্দ ফারশী, এর আরবী মু‘তি, এর বাংলা- প্রকৃত দাতা। না মানুষ প্রকৃত খাজা হতে পারে না।
  3. প্রকৃত সর্বোচ্চ উদ্ধারকারী কে? গাউসুল আযম শব্দের অর্থ কি? মানুষ কি গাউসুল আযম হতে পারে?
    উত্তরঃ প্রকৃত সর্বোচ্চ উদ্ধারকারী আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামিন। গাউসুল আযম অর্থ- প্রকৃত সর্বোচ্চ উদ্ধারকারী। না মানুষ কখনো সর্বোচ্চ উদ্ধারকারী হতে পারে না।
  4. ঈমানের আরকান কয়টি ও কি কি?
    উত্তরঃ ঈমানের আরকান ৬ টি। ১। আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা, ২। মালাইকাহগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা, ৩। আল্লাহর কিতাব সমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা, ৪। আল্লাহর রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা, ৫। আখিরাত দিবসে বিশ্বাস স্থাপন করা, ৬। ভাগ্যের ভাল ও মন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা।
  5. তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি? প্রত্যেকটি তাওহীদের বিবরণ দাও।
    উত্তরঃ তাওহীদ ৩ প্রাকার। ১। তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ, ২। তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ, ৩। তাওহীদুল আসমা আসসিফাত।
    ১। তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ- আল্লাহার কার্যে কোন প্রকার অংশি ছাড়া এক ও একক। তাঁর বুবিয়্যাহর পরিধী অসীম তবে তিনি রাব্বুল আলামিন আমাদের যা জানয়েছেন তার মধ্যে – তিনি সকল কিছুর স্রোষ্টা, তিনি সকল কিছুর মালিক বা সর্বভৌম (কর্তৃত্বের অধিকারী, সবকিছুর উপর নিরঙ্কুশ ক্ষমতাবান), তিনি সবকিছুর পরিচালক (রক্ষক, নিয়ন্ত্রক, ধারক)।
    ২। তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ- কোন প্রকার শরিক ছাড়া আল্লাহর প্রতি মানুষের কর্ম। সবপ্রকার শরিক ছাড়া একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করা। যা “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু” এর মর্ম কথা। ইবাদত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে বহু লিখা প্রয়োজন।
    ৩। তাওহিদুল আসমা আসসিফাত- আল্লাহ উত্তম নাম সমূহ কোন প্রকার শরিক ছাড়া একমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা।
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-৪ (২০১৮)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. হাদীস এর আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ কি?
    • কথা। (সঠিক)
    • কাজ।
    • কাজ ও কথা।
  2. হাদীস এর ইসলামের পারিভাষিক অর্থ কি?
    • হাদীস এর ইসলামী পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথা।
    • হাদীস এর ইসলামী পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাজ ও সম্মতি।
    • হাদীস এর ইসলামী পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথা, কাজ ও সম্মতি। (সঠিক)
  3. আহলুল হাদীস এর আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ কি?
    • কথার অনুসারী। (সঠিক)
    • কাজের অনুসারী।
    • কথা ও কাজের অনুসারী।
  4. আহলুল হাদীসের ইসলামী পারিভাষিক অর্থ কি?
    • কুরআন এর অনুসারী।
    • সহীহ হাদীসের অনুসারী।
    • কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসারী। (সঠিক)
  5. ইসলামের মূল উসূল (উৎস) কি?
    • কুরআন।
    • সহীহ সূন্নাহ।
    • কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ। (সঠিক)
  6. ইসলামের মূল উসূলের অধীন উসূলগুলি কি কি?
    • সীমীত জ্ঞানের অধিকারী মানুষের জ্ঞান প্রসূত সিদ্ধান্ত।
    • সীমীত জ্ঞানের অধিকারী মানুষের শক্তি ভিত্তিক খেয়াল খুশি মত সিদ্ধান্ত।
    • কুরআন ও সুন্নাহর অধীন ইজমা ও কিয়াস। (সঠিক)
  7. প্রসিদ্ধ চার ইমামগণ কি তাদের নিজ নিজ নামে মাজহাব বানায়েছিলেন? না তাদের একটিই মাজহাব ছিল তা দ্বীন ইসলাম?
    • চার ইমামগণ নিজ নিজ নামে মাজহাব বানায়েছিলেন, কিন্তু তাদের একটি মাজহাব ছিল তা দ্বীন ইসলাম।
    • চার ইমামগণ নিজ নিজ নামে মাজহাব বানায়েছিলেন এবং নিজ নিজ মাজহাব এর উপর ছিলেন।
    • চার ইমামগণ নিজ নিজ নামে কোন মাজহাব বানান নেই তাঁদের প্রত্যেকেরই একটিই মাজহাব ছিল তা দ্বীন ইসলামের। (সঠিক)
  8. তাওহীদ এর শাব্দিক অর্থ কি?
    • দ্বীত্ববাদ
    • তৃত্ববাদ
    • একত্ববাদ (সঠিক)
  9. তাওহীদের ইসলামী পারিভাষিক অর্থ কি?
    • আল্লাহর তাঁর রুবূবীয়্যাহ তে সকল ধরণের শরিক ছাড়া এক ও একক।
    • আল্লাহর উলুহীয়্যাহ ও আসমা আসসিফাতে সকল ধরণের শরিক ছাড়া এক ও একক।
    • আল্লাহর রুবূবীয়্যাহ, উলুহীয়্যাহ ও আসমা আসসিফাতে সকল ধরণের শরিক ছাড়া এক ও একক। (সঠিক)
  10. ঈমানের উসূল কয়টি?
    • একটি।
    • দুইটি।
    • তিনটি। (সঠিক)
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. আহলূল হাদীসের ইসলামী পরিভাষিক অর্থ কি? এর সমর্থনে একটি কুরআনের আয়াত ও একটি সহীহ হাদীস উল্লেখ কর।
    উত্তরঃ আহলূল হাদীসের ইসলামী পরিভাষিক অর্থ হচ্ছে – কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর অনুসারী। আল্লাহ বলেন-
    (اَللهُ لَااِلَٰهَ اِلَّا هُوَ لَيَجْمَعَنَّكُمْ اِلَٰى يَومِ الْقِيَٰمَةِ لَارَيْبَ فِيهِ وَمَنْ اَصْدَقُ مِنَ اللهِ حَدِيثًا)
    এর উচ্চারণ হচ্ছে- “আল্লাাহু লাাইলাাহা ইল্লাহুয়া, লাইয়াজমা‘আন্নাকুম ইলাা ইয়াওমিল ক্বিয়ামাতি লাারায়বা ফি-হে, ওয়া মান আসদাক্বা মিনাল্লাহি হাদীসান।” [সূরা নিসা ৮৭] অর্থ- আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারে কোন ইলা বা উপাস্য নাই, এতে কোনই সন্দেহ নেই যে তিনি ক্বিয়ামত দিবসে সকলকে একত্র করবেনই, আল্লাহ অপেক্ষা আর কার ‘হাদীস’ অধিক সত্য হতে পারে। এখানে কুরআনকে ‘হাদীস’ বলা হয়েছে। এ ছাড়াও সূরা আল মুরসালাত- ৫০, সূরা আল জাসিয়াত- ৬, সূরা জুমার- ২৩ এসব আয়াতে কুরআনকে হাদীস বলা হয়েছে। এ ছাড়াও সহীহ মুসলিমের কিতাবুজ জুম‘আ বাবু তাকফি ফিসসালাতি ওয়াল খুতবা, হাদীস নং ৮৬৭, আল্লাহর রাসূল বলেছেন- ফাইন্না খায়রাল হাদীসে কিতাবুল্লাহ, এখানে ‘হাদীসি কিতাবুল্লা’ বলতে কুরআনকেই বুঝান হয়েছে।
  2. আহলূল হাদীস কি কোন ব্যক্তি কেন্দ্রীক ফিরকার নাম? এ ব্যাপরে তোমার দাবীর উপর দলীল ভিত্তিক প্রমাণ উপস্থাপন কর। 

    উত্তরঃ না, আহলুল হাদীস কোন ব্যক্তি কেন্দ্রীক ফিরকার নাম নয়। ইহা ইসলামের প্রকৃত উসূল- কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক মুসলিমের বৈশিষ্ট বা গুণ। যমেন আল্লাহ বলেন-
    (قُلْ اَطِيعُوا اللهَ وَرَّسُولَ فَاِنْ تَوَلَّوْا فَاِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ الْكَفِرِينَ )
    “(হে রাসুল!) বল, ‘আল্লাহ ও রাসূলের অনুগত হও।’ যদি তাহারা মুখ ফিরাইয়া লয় তবে জানিয়া রাখ, আল্লাহ (ঐ সব) কাফিরদের ভালবাসেন না।” এখানে স্পষ্ট হয় যে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত নয় তারা কাফির অর্থাৎ মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই কুরআন ও সুন্নাহ হচ্ছে ইসলামের মূল উসূল।

  3. ফিরকাতুন নাযিয়ার বৈশিষ্ট সম্পর্কে রাসূলুল্লাহা (সাঃ) এর হাদীস উল্লেখ পূর্বক আলোচনা কর।
    উত্তরঃ
    وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَيَأْتِيَنَّ عَلى أُمَّتِي كَمَا أَتى عَلى بَنِي إِسْرَائِيلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ حَتّى إِنْ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتى أُمَّه عَلَانِيَةً لَكَانَ فِي أُمَّتِي مَنْ يَصْنَعُ ذلِكَ وَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ اِلَّا مِلَّةً وَاحِدَةً قَالُوا مَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

    ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতের উপর এমন একটি সময় আসবে যেমন বানী ইসরাঈলের উপর এসেছিল। যেমন এক পায়ের জুতা অপর পায়ের জুতার ঠিক সমান হয়। এমনটি বানী ইসরাঈলের মধ্যে যদি কেউ তার মায়ের সাথে প্রকাশ্যে কুকর্ম করে থাকে, তাহলে আমার উম্মাতের মধ্যেও এমন লোক হবে যারা অনুরূপ কাজ করবে আর বানী ইসরাঈল ৭২ ফিরক্বায় (দলে) বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। আমার উম্মাত বিভক্ত হবে ৭৩ ফিরক্বায়। এদের মধ্যে একটি ব্যতীত সব দলই জাহান্নামে যাবে। সহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! জান্নাতী দল কারা? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যার উপর আমি ও আমার সাহাবীগণ প্রতিষ্ঠিত আছি, যারা তার উপর থাকবে। [১] মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৭১ হাদিসের মান: অন্যান্য। Source: ihadis.com

    حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ الإِفْرِيقِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِي مَا أَتَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ حَتَّى إِنْ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتَى أُمَّهُ عَلاَنِيَةً لَكَانَ فِي أُمَّتِي مَنْ يَصْنَعُ ذَلِكَ وَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً قَالُوا وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُفَسَّرٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏

    ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বানী ইসরাঈল যে অবস্থায় পতিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতও সেই অবস্থার সম্মুখীন হবে, যেমন একজোড়া জুতার একটি আরেকটির মতো হয়ে থাকে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচার করে থাকে, তবে আমার উম্মাতের মধ্যেও কেউ তাই করবে। আর বানী ইসরাঈল বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমার উম্মাত তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে। শুধু একটি দল ছাড়া তাদের সবাই জাহান্নামী হবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সে দল কোনটি? তিনি বললেনঃ আমি ও আমার সাহাবীগণ যার উপর প্রতিষ্ঠিত। হাসানঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (১৭১), সহীহাহ্‌ (১৩৪৮)। জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৬৪১ হাদিসের মান: হাসান হাদিস Source: ihadis.com

    [عن عوف بن مالك أن النبي صلى الله عليه و سلم قال:”افترقت اليهود على إحدى و سبعين فرقة ، فواحدة في الجنة و سبعين في النار ، و افترقت النصارى على اثنين و سبعين فرقة فواحدة في الجنة و إحدى و سبعين في النار ، و الذي نفسي بيده لتفترقن أمتي على ثلاث و سبعين فرقة ، فواحدة في الجنة و ثنتين و سبعين في النار ، قيل يا رسول الله من هم ؟ قال : هم الجماعة]
    قال فيه السخاوي رحمه الله: رجاله موثقون، قال أحمد شاكر رحمه الله: إسناده صحيح، قال الألباني رحمه الله في السلسلة الصحيحة: إسناده جيد رجاله ثقا
    عن جابر رضي الله عنه أن النبي عليه الصلاة و السلام قال: “و الذي نفسي بيده، لو أن موسى كان حيا ما وسعه إلا اتباعي”
    رواه أحمد والبيهقي بسند حسن

    “আউফ বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত- নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে, তিনি বলেন- ইহুদীরা একাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল, তাদের মধ্য হতে একটি দল জান্নতী হবে এবং বাঁকি সত্তরটি দল জাহান্নমি হবে। খ্রীষ্টানরা বহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল তার মধ্যে একটি দল জান্নাতি হবে বাঁকি একাত্তুরটি দল জাহান্নামি হবে। ঐ সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রাণ আমার উম্মাত তিহাত্তুর দলে বিভক্ত হবে তার মধ্যে একটি দল জান্নাতি হবে বাঁকি বাহাত্তুরটি দল জাহান্নামি হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু’আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলা হল; তারা কারা? তিনি বললেন- এই জামাত।” ইমাম সখাবি এ ব্যপারে বলেন, এ লোকটি নির্ভশীল। আহম্মাদ শাকির (রহঃ) বলেন ইসনাদ সহীহ। আলবানি (রহঃ) তাঁর সিলসিলসতিস সহীহ তে বলেন ইসনাদ উত্তম।

    وَفِىُ رَوَايَةِ أَحْمَدَ وَاَبِى دَاوٗدَ عَنْ مُعَاوِيَةَ ثِنْتَانِ وَسَبْعُوْنَ فِىْ النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِىْ الْجَنَّةِ وَهِىَ الْجَمَاعَةُ وَاِنَّه سَيَخْرُجُ فِىْ اُمَّتِى اّقْوَامٌ تَتَجَارَى بِهِمْ تِلْكَ الْاَهْوَاءُ كَمَا يَتَجَارَى الْكَلَبُ بِصَاحِبِه لَا يَبْقى مِنْهُ عِرْقٌ وَلَا مَفْصِلٌ اِلَّا دَخَلَه

    মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) আহ্‌মাদ ও আবূ দাঊদে মু’আবিয়াহ্‌ (রাঃ) হতে (কিছু পার্থক্যের সাথে) বর্ণনা করেন যে, ৭২ দল জাহান্নামে যাবে। আর একটি দল জান্নাতে যাবে। আর সে দলটি হচ্ছে জামা‘আত। আর আমার উম্মাতের মধ্যে কয়েকটি দলের উদ্ভব হবে যাদের শরীরে এমন কুপ্রবৃত্তি (বিদ‘আত) ছড়াবে যেমনভাবে জলাতংক রোগ রোগীর সমগ্র শরীরে সঞ্চারণ করে। তার কোন শিরা-উপশিরা বাকি থাকে না, যাতে তা সঞ্চার করে না। [১] মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৭২ হাদিসের মান: হাসান হাদিস Source: ihadis.com

    حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، قَالَ حَدَّثَنِي صَفْوَانُ نَحْوَهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَزْهَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَرَازِيُّ، عَنْ أَبِي عَامِرٍ الْهَوْزَنِيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّهُ قَامَ فِينَا فَقَالَ أَلاَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ فِينَا فَقَالَ ‏”‏ أَلاَ إِنَّ مَنْ قَبْلَكُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ افْتَرَقُوا عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَإِنَّ هَذِهِ الْمِلَّةَ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ ثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ وَهِيَ الْجَمَاعَةُ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ ابْنُ يَحْيَى وَعَمْرٌو فِي حَدِيثَيْهِمَا ‏”‏ وَإِنَّهُ سَيَخْرُجُ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ تَجَارَى بِهِمْ تِلْكَ الأَهْوَاءُ كَمَا يَتَجَارَى الْكَلْبُ لِصَاحِبِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ عَمْرٌو ‏”‏ الْكَلْبُ بِصَاحِبِهِ لاَ يَبْقَى مِنْهُ عِرْقٌ وَلاَ مَفْصِلٌ إِلاَّ دَخَلَهُ ‏”‏ ‏

    মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, জেনে রাখো! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বললেন, জেনে রাখো! তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাব বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছে এবং এ উম্মাত অদূর ভবিষ্যতে তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে। এর মধ্যে বাহাত্তর দল জাহান্নামে যাবে এবং একটি জান্নাতে যাবে। আর সে দল হচ্ছে আল-জামা’আত। ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া ও ‘আমর (রহঃ) বলেনঃ “বিষয়টি হল, আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এমন দলের আবির্ভাব ঘটবে যাদের সর্বশরীরে (বিদ’আতের) প্রবৃত্তি এমনভাবে অনুপ্রবেশ করবে যেমন পাগলা কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগীর সর্বশরীরে সঞ্চারিত হয়। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৫৯৭ হাদিসের মান: হাসান হাদীস। Source: ihadis.com
  4. ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি?
    উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি।
    ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
  5. সলাত পরিত্যাগকারীর বিধান কি?
    উত্তরঃ সালাত পরিত্যাগকারীর বিধান হচ্ছে- কাফির হয়ে যাওয়া। কারণ যে সালাত আদায় করতে অস্বীকার করল যা ইসলামের দ্বীতীয় স্তম্ভ। এ দ্বারা সে দ্বীনকে অস্বীকার করল, তাই সে দ্বীন থেকে বের হয়ে গেল।
 
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-৩ (২০১৮)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
  1. আল্লাহর কুদরতী হাত, কুদরতী পা, কুদরতী চোখ, কুদরতী কান, কুদরতী মুখমন্ডল আছে এমন বলা কি বৈধ?
    • না (সঠিক)
    • হাঁ
    • বিধিনিষেধ নাই
  2. কেহ যদি বলে আল্লাহর কুদরতী হাত, কুদরতী পা, কুদরতী চোখ, কুদরতী কান, কুদরতী মুখমন্ডল আছে। তাহলে এর হুকুম কি?
    • হারাম
    • শিরক
    • কুফরী (সঠিক)
  3. আল্লাহ ছাড়া অন্য কেহ (মাধ্যম ছাড়া) গায়েব জানে এমন বিশ্বাস এর হুকম কি?
    • কুফুরী
    • হারাম
    • শিরক (সঠিক)
  4. কারামত কি?
    • আল্লাহর ইচ্ছায় ও ক্ষমতায় তাঁরই প্রদত্ত বিশেষ অলৌকিক কার্য যা তাঁর প্রীয় বান্দাদেরকে আল্লাহর একত্ববাদ বা তওহীদ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রদান করেন তাহাই কারামত। (সঠিক)
    • পীর, ওলী/আওলীয়া বানানর জন্য মানুষের মধ্য থেকে কাহাকেও বংশপরারস্পরায় গদীনসীন করার জন্য বিশেষ অলৌকি ক্ষমতা প্রদান করা হয় তাহাই কারামত।
    • কুরআন ও সহীহ হাদীস বহির্ভুত বিশেষ তরিকায় বা পন্থায় আমল বা কার্য করার মাধ্যমে যে অলৌকি ক্ষমতা অর্যন করা হয় তাহাই কারামত।
  5. আল্লাহ যাকে কারামত প্রদান করেন তিনি কি যখন তখন তার ইচ্ছামত কারামত প্রদর্শন করতে পারেন?
    • তিনি তা আল্লাহর ক্ষমতায় নিজ ইচ্ছামত যখন তখন প্রদর্শন করতে পারেন?
    • তিনি নিজ ইচ্ছা ও ক্ষমতায় যখন তখন তা প্রদর্শন করতে পারেন।
    • কেবল মাত্র আল্লাহর ইচ্ছায় ও ক্ষমতায় যখন আল্লাহ ইচ্ছা করেন তখন তিনি তা প্রদর্শন করতে পারেন। (সঠিক)
  6. চার ইমাম কি তাদের নিজ নিজ নামে মাজহাব প্রতিষ্ঠা করেন?
    • না চার ইমামের কেহই কোন মাজহাব তৈরি করেন নাই। তারা সবাই রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মাজহাব দ্বীন ইসলামের উপর ছিলেন। (সঠিক)
    • হা চার ইমাম প্রত্যেকেই রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মাজহাব দ্বীন ইসলাম ছেড়ে নিজ নিজ মাজহাব প্রতিষ্ঠা করেন।
    • হা চার ইমাম প্রত্যেকেই রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মাজহাব দ্বীন ইসলামের অনেক বিষয় অসম্পূর্ণ থাকার জন্য নিজেরা গবেষণা করে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পরিপূর্ণতা দান করে চারটি পূর্ণাঙ্গ মাজহাব প্রতিষ্ঠা করেন।
  7. দ্বীন ইসলামের ভিত্তি কি কি?
    • লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ মুখে ঘোষনা করা, সালাত কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, রমাযান মাসে সিয়াম করা, বায়তুল্লাহতে হজ্জ্ব করা।
    • লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ মুখে ঘোষনা করা ও অন্তরে বিশ্বাস করা, সালাত কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, রমাযান মাসে সিয়াম করা, বায়তুল্লাহতে হজ্জ্ব করা। (সঠিক)
    • লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ অন্তরে বিশ্বাস করা, সালাত কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, রমাযান মাসে সিয়াম করা, বায়তুল্লাহতে হজ্জ্ব করা।
  8. ইয়া আলী মাদাদ, ইয়া গাউসুল আযম বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী বিপদ উদ্ধার কর, ইয়া খাজাবাবা সন্তান দান কর, ইয়া রাসূলুল্লাহ আমাকে জান্নাত দান কর। এইসব উক্তি কি?
    • শিরক আসগার (ছোট শিরক)।
    • শিরক আকবার (বড় শিরক)। (সঠিক)
    • হারাম
  9. সালতে দাঁড়ানর সময় নিয়ত পাঠ করা কি বিদাত?
    • হা বিদাত। (সঠিক)
    • না বিদাত নয়।
    • না বিদাতে হাসানা
  10. সূরা ইয়াসীন এক বার পাঠ করলে 10 বার কুরআন সম্পূর্ণ পাঠ করার সুয়াব পাওয়া যায়। এ আমল কি?
    • বিদাত। (সঠিক)
    • বিদাতে হাসানা
    • সুন্নাত
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
  1. মহান আল্লাহ কোথায় আছেন? এর সপক্ষে কুরআন মাজিদের একটি আয়াত উল্লেখ করুন।
    উত্তরঃ মহান আল্লাহ সাত আসমানের উর্ধ্বে আরশের উপর সমুন্নত আছেন। “পরম দয়াময় আল্লাহ আরশে সমুন্নত আছেন” [ত্বা-হা : ৫]
  2. মহান আল্লাহ কি নিরাকার, নাকি তাঁর আকার আছে? এর সপক্ষে কুরআন মাজিদের দুইটি আয়াত উল্লেখ করুন।
    উত্তরঃ মহান আল্লাহর আকার আছে। তিনি নিরাকার নন। তবে তাঁর সদৃশ কেহ নাই।
    “তারা আল্লাহ্‌র যথার্থ মর্যাদা নিরুপন করতে পারেনি। কিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোতে থাকবে।” [সূরা-যুমার, আয়াত-৬৭]
    (কিয়ামতের দিন) ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে । (হে রাসুল) আপনার মহিমাময় ও মহানুভব রবের চেহারা অর্থাৎ সত্ত্বাই একমাত্র বাকি থাকবে। [আর-রাহমান-২৬-২৭]
    “আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তাঁর মুখমণ্ডল ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংসশীল।” [সূরা-আল কাসাস, আয়াত-৮৮]
    আল্লাহ্‌র সদৃশ কোন বস্তুই নেই এবং তিনি শুনেন ও দেখেন ।” [সূরা-আশ-শুরা, আয়াত-১১]
    “কিয়ামতের দিনে আল্লাহর হাঁটুর নিম্নাংশ উন্মোচিত করা হবে এবং সাজদা করার জন্য সকলকে আহবান করা হবে, কিন্তু তারা তা করতে সমর্থ হবে না।” [সুরা-কালাম, আয়াত-৪২]
    “কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” [শূরা : ১১]
  3. যে মসজিদে কবর আছে, সে মসজিদে সালাত হয় না, এর প্রমাণ রেফারেন্স সহ উল্লেখ কর।
    উত্তরঃ মহানবী (সাঃ) বলেছেন- তোমরা কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করো না এবং কবরকে সিজদার স্থান বানাইও না। সহীহ হাদীসে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে। উম্মে সালামাহ আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর নিকট একটি গির্জার বর্ণনা দেন যেটি তিনি হাবশায় দেখেছিলেন এবং তাতে ছিল কয়েকটি ছবি। মহানবী (সাঃ) বললেনঃ
    ((أُولَٰئِكِ إِذَا مَاتَ فِيهِمُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ، أَوِ الْعَبْدُ الصَّالِحُ، بَنَوْا عَلٰى قَبْرِهِ مَسْجِدًا وَّصَوَّرُا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ، أُلَٰئِكِ شِرَارُ الْخَلْقِ عِنْدَ اللهِ)) (صحيح البخارى، الصلاة، باب تنبش قبور مشركي الجاهلية ويتخذ مكانها مساجد، ح:٧٢٤، ٤٣٤، ١٤٣١وصحيح مسلم، المساجد، باب النهي عن بناء المسجد على القبر، ح: ٨٢٥)
    “তাদের মধ্যে কোন নেককার লোক অথবা বান্দা মারা গেলে তারা তার কবরে একটি মসজিদ তৈরি করত এবং তাতে ঐ ছবিগুলি তৈরি করত। তারা আল্লাহর নিকৃষ্ট সৃষ্টি। তারা এখানে দুইটি ফিতনা একত্রিত করেছে। কবরের ফিতনা এবং ছবি ফিতনা।”
    বুখারী ও মুসলিমে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে। যখন আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর মৃত্যু যন্ত্রণা উপস্থিত হলো তিনি তার মুখে এক টুকরা কাপড় রাখলেন। এতে যখন অসুবিধা দেখা দিল তখন ওটি সরিয়ে ফেললেন। তিনি ঐ অবস্থায় বললেন।
    ((لَعْنَةُ اللهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُرَ أنْبِيائهِمْ مَّسَاجِدَ)) (صحيح البخارى، أحاديث الأنبياء، باب ما ذكر عن بني إسرائيل، ح:٣٥٤٣، ٠٩٣١ وصحيح مسلم، المساجد، باب النهي عن ابخاذ القبور مساجد، ح:٩٢٥)
    “ইয়াহুদী, খ্রিস্টানদের উপর আল্লাহর অভিশাপ, তারা তাদের নবীগণের কবরগুলিকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে। তিনি তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। এমনটি না হলে তাঁর কবর উন্মুক্ত করা হত। আর সেটিকে সালতের স্থান বানিয়ে নেয়া হতে পারে এই আশংকা করা হয়েছে।” [বুখারী ও মুসলিম]
    জুনদুব বিন আব্দুল্লাহ থেকে মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, আমি মহানবী (সাঃ) কে তাঁর মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে বলতে শুনেছিঃ
    ((إِنِّي أَبْرَأُ إِلَى اللهِ أَنْ يَّكُونَ لِي مِنْكُمْ خَلِيْلٌ، فَإِنَّ اللهَ قَدِ اتَّخَذُنِي خَلِيلًا، كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِّنْ أُمَّتِي خَلِيلًا لَا تَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، أَلَا وَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانُوا يَتَّخِذُونَ قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَّسَاجِدَ فَإِنِّي أَنْهَاكُمْ عَنْ ذَٰلِكَ)) (صحيح مسلم، المساجد، باب النهي عن بناء المساجد على القبور، ح:٢٣٥)
    “তোমাদের মধ্য থেকে আমার কোন বন্ধু হোক তা থেকে আমি আল্লাহর নিকট মুক্তি কামনা করি। কারণ, আল্লাহ আমাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন যেমন ভাবে ইবরাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। আমি যদি আমার উম্মত থেকে কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতাম তাহলে আবু বকরকে গ্রহণ করতাম। জেনে রাখ, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবীদের কবরসমূহকে মসজিদ বা সিজদার স্থান বানিয়ে নিয়েছিল। সাবধান! তোমরা কবরগুলোকে মসজিদ বানিয়ে নিও না। আমি এ ব্যাপারে তোমাদের নিষেধ করছি।”
  4. মসজিদে কবর দওয়া অথবা কবরের উপরে মসজিদ বানানো বৈধ নয় কেন? এর প্রমাণ রেফারেন্স সহ উল্লেখ কর।
    উত্তরঃ মহানবী নিষেধ করেছেন তাই কবরের উপর মসজিদ বানান নিষেধ। [বুখারী, মুসলিম]
  5. মাহানবী (সাঃ) এর কবর মসজিদে নববীর ভিতরে রয়েছে। এর কারণ কি? রেফারেন্স সহ উল্লেখ কর।
    উত্তরঃ মহানবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে মসজিদে নববীর অভ্যন্তরে কবর দেয়া হয় নাই। তিনাকে মা আয়শা (রাঃ) এর ঘরে কবর দেয়া হয়েছিল। মসজিদে নববী এর নিকটে মা আয়সা (রাঃ) ঘর থাকলেও তা ভিন্ন জায়গায় ছিল। পরবর্তী সময় মসজিদের জায়গা সম্প্রসারনের প্রয়োজন হলে তা সম্প্রসারণ করা হয়। বর্তমানে মহানবীর কবর স্থানকে কয়েক পর্যায়ে বিশেষ ভাবে প্রাচির দিয়ে মসজিদে নববীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করা হয়েছে। [দ্বীনী প্রশ্নোত্তর (আব্দুল হামীদ ফাইযী)- হাওলা দেয়া হয়েছে -ইবনে উষায়মীন]

© 2020 - Dawah wa Tablig